ফ্লেক্স নিয়ে গোলমাল কৃষ্ণনাথ কলেজে

কলেজ গেটের সামনে থেকে অধীর চৌধুরীর ফ্লেক্স ‘সরিয়ে’ ফেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর ‘কোন্দলে’ অশান্ত হয়ে ওঠে কৃষ্ণনাথ কলেজ চত্বর। শুক্রবার দুপুরে ওই দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা নিজেদের মধ্যে মারপিটে জড়িয়ে পড়েন। ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কলেজের প্রাতঃবিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তথা কলেজের সহকারি সাংস্কৃতিক সম্পাদক ঋতুরাজ মণ্ডল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৪ ০০:১৩
Share:

কলেজ গেটের সামনে থেকে অধীর চৌধুরীর ফ্লেক্স ‘সরিয়ে’ ফেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর ‘কোন্দলে’ অশান্ত হয়ে ওঠে কৃষ্ণনাথ কলেজ চত্বর। শুক্রবার দুপুরে ওই দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা নিজেদের মধ্যে মারপিটে জড়িয়ে পড়েন। ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কলেজের প্রাতঃবিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তথা কলেজের সহকারি সাংস্কৃতিক সম্পাদক ঋতুরাজ মণ্ডল। ওই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে অধীর চৌধুরীর মুখের ছবি দেওয়া একটি বড় ফ্লেক্স কলেজের গেটের সামনে টাঙিয়ে দেয় বহরমপুর টাউন ছাত্র পরিষদ। অভিযোগ, শুক্রবার সকালে দেখা যায় গেটের সামনে থেকে ওই ফ্লেক্স সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে টাউন ছাত্র পরিষদের সভাপতি চিরঞ্জীত চক্রবর্তী বলেন, “ফ্লেক্স সরিয়ে ফেলার বিষয়টি কলেজের দিবা বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ছাত্র পরিষদের বিপ্লব কুণ্ডুর কাছে জানতে চাই। কিন্তু ‘দাদার ব্যানার কোথায় লাগাবো না লাগাবো সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার’ বলে বিপ্লব আমাকে চড় মারে এবং ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয়।”

চিরঞ্জীতের অভিযোগ, “বিপ্লবের পাশে সেই সময়ে বহিরাগত তৃণমূল ছাত্রপরিষদের কয়েক জন নেতা-কর্মীও ছিল। আমাকে মারতে দেখে বিপ্লবকে কিছু বলতে যেতেই তৃণমূলের ওই নেতা-কর্মীরা ঋতুরাজকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। ঋতুরাজের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।”

Advertisement

ছাত্র পরিষদের জেলা সম্পাদকের পাশাপাশি কলেজের দিবা বিভাগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন বিপ্লব কুণ্ডু। তিনি অবশ্য ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের’ বিষয়টি অস্বীকার করেন। তাঁর কথায়, “বহিরাগত তৃণমূল নেতা সৌরভ ভকতের সঙ্গে এসে চিরঞ্জিত ফ্লেক্সের কথা জিজ্ঞেস করায় আমি ভেবেছি সে তৃণমূলের কোনও ফ্লেক্সের কথা জিজ্ঞেস করছে। কিন্তু তৃণমূলের ফ্লেক্স সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কোনও কিছু জানা নেই বলতেই চিরঞ্জীত-সহ তৃণমূূলের লোকজন আমার উপরে চড়াও হয়।”

কৃষ্ণনাথ কলেজের অধ্যক্ষ কল্যাণাক্ষ ঘোষ বলেন, “কলেজের ভেতরে একটা ঝামেলা হয়েছে। হাতাহাতি হতে দেখে শিক্ষাকর্মী ও কয়েক জন ছাত্র এগিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে কী কারণে ওই বিবাদ তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।” গোষ্ঠীদ্বন্দের বিষয়টি জানাজানি হতেই দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। পরে জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি সরফরাজ শেখ রুবেল বলেন, “নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলা হয়েছে।” জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “নিজেদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আলোচনার মধ্যে দিয়ে তা মিটিয়ে ফেলা হয়েছে। সকলেই অধীর চৌধুরীর নেতৃত্ব মেনে এক হয়ে কাজ করার শপথ নিয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement