একই সঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভার ভোট হবে। দুই ক্ষেত্রেই মানুষ যাতে কাস্তে-হাতুড়ি চিহ্নে ভোট দিতে পারেন, সেই যুক্তিতে বিধানসভা উপনির্বাচনে শান্তিপুর আসনে এ বার বাম শরিক আরসিপিআইয়ের বদলে প্রার্থী দিচ্ছে সিপিএমই। বামফ্রন্টের বৈঠকের পরে বুধবার ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, এ বার সিপিএম প্রার্থী দিলেও ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে আসনটি আবার আরসিপিআই-কে ছেড়ে দেওয়া হবে। ওই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে আজ। বাকি পাঁচ কেন্দ্রে প্রার্থীরা হলেন কোতুলপুরে (সংরক্ষিত) সিপিএমের শীতল কৈবর্ত্য, চাকদহে সিপিএমের বিশ্বনাথ গুপ্ত এবং গলসিতে (সংরক্ষিত) ফরওয়ার্ড ব্লকের নন্দলাল পণ্ডিত, ময়নাগুড়ি ও কুমারগ্রামে (দু’টোই সংরক্ষিত) আরএসপি-র দীনবন্ধু রায় ও মনোজ ওরাও।ঁ
বিমানবাবু জানান, আরসিপিআইয়ের কোনও নির্দিষ্ট প্রতীক নেই। নির্বাচন কমিশনের তালিকা থেকে তাদের প্রতীক দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে একই চিহ্নে লোকসভা আসনে বিরোধীরা কোনও নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিলে বাম ভোটারেরা বিভ্রান্ত হবেন। সেই সম্ভাবনা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত। কংগ্রেস ছেড়ে পুরনো বিধায়ক অজয় দে-ই এ বার শান্তিপুরে তৃণমূল তৃণমূল প্রার্থী।
বামফ্রন্টের শরিক হিসাবে দীর্ঘ দিন ধরে শান্তিপুর আসনে আরসিপিআই লড়ছে। ক’দিন আগেই ফ্রন্ট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে সমাজবাদী পার্টি। এ বার আরসিপিআই যাতে বেরিয়ে না যায়, তার জন্য ফ্রন্টের বৈঠকের আগেই আরসিপিআই নেতৃত্বের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন বিমানবাবু। তিনি তাঁদের আশ্বাস দেন, ২০১৬ সালে পুনরায় আসনটি তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে। আপাতত লোকসভার স্বার্থে যেন আসনটি সিপিএমকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আরসিপিআই নেতৃত্ব তাতে রাজি হন। এর আগে ২০০৬-এর বিধানসভা ভোটেও শান্তিপুরে লড়েছিল সিপিএম। তবে এখন সিপিএমকে আসন ছাড়তে দলের মধ্যে যে বিতর্ক ছিল, তা স্বীকার করে নিয়ে আরসিপিআইয়ের রাজ্য নেতা মিহির বাইন বলেন, “আমাদের কর্মীদের মধ্যে আপত্তি ছিল। লোকসভা ভোটের স্বার্থে সিপিএম আমাদের তাদের চিহ্নে লড়তে অ নুরোধ করে। এই প্রস্তাব মানা সম্ভব নয়। সে কারণেই বৃহত্তর বাম ঐক্যের স্বার্থে এ বার আসনটি সিপিএমকে ছাড়া হল।”