ডাকাতের হানায় স্ত্রী খুন, গুলিবিদ্ধ স্বামী

ডাকাতি করতে এসে এক বৃদ্ধাকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। গুলি করল তাঁর স্বামীকেও। প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডল নামে ওই বৃদ্ধ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে কোমায় চলে গিয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে নিহতের নাম বকুল মণ্ডল (৬৫)। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালি থানার বগুলা আসরপাড়া এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বগুলা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৪ ০০:১৯
Share:

চিকিৎসাধীন প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।

ডাকাতি করতে এসে এক বৃদ্ধাকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। গুলি করল তাঁর স্বামীকেও। প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডল নামে ওই বৃদ্ধ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে কোমায় চলে গিয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে নিহতের নাম বকুল মণ্ডল (৬৫)। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালি থানার বগুলা আসরপাড়া এলাকায়।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে ভারী কিছু দিয়ে বৃদ্ধ দম্পতির মাথায় এবং ঘাড়ে আঘাত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে বিষয়টি জানাজানি হতেই গুরুতর জখম ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে নিয়ে যাওয়া হয় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে শক্তিনগর জেলা হসাপাতালে নিয়ে আসার পথে মৃত্যু হয় বকুলদেবীর। অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রাণকৃষ্ণবাবুকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ই এম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, “মাথায় আঘাত গুরুতর। তিনি এখন কোমায় চলে গিয়েছেন। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”জেলার পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, “ডাকাতি ও খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলেরা বাইরে চাকরি করেন। মেয়েরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে থাকতেই ওই দুই বৃদ্ধ। বাড়ির পাশেই প্রাণকৃষ্ণবাবুর আইসক্রিমের মিল রয়েছে। এছাড়াও বগুলা এলাকায় তাঁর বেশ কিছু সম্পত্তিও রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে তাঁর আইসক্রিম মিলে কাজ করে আসছেন বছর ত্রিশের নিত্যানন্দ সাহা। এ দিন ভোর চারটে নাগাদ তিনিই প্রথমে ওই দুই বৃদ্ধ-বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। তাঁর চিৎকারেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা তিনটি আলমারি ভেঙেছে। তছনছ করেছে আলমারির সব কিছু। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, বুধবার প্রাণকৃষ্ণবাবু ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নিয়ে এসেছিলেন। তবে দুষ্কৃতীরা ঠিক কত টাকা নিয়ে গিয়েছে তা পুলিশের কাছে এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। প্রাণকৃষ্ণবাবুর মেয়ে ইভা কুন্ডু বলেন, “দুষ্কৃতীরা ঠিক কত টাকা নিয়ে গিয়েছে তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। তবে আমার মা প্রচুর গয়না পরতেন। সেগুলি সব খুলে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা।” আইসক্রিম মিলের কর্মীরা যাতে শৌচাগার ব্যবহার করতে পারেন সেই জন্য ঘর লাগোয়া ওই শৌচাগারটির বাইরে ও ভিতরে দু’দিকেই দরজা রয়েছে। পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা আগে থেকেই বাইরের দরজা দিয়ে শৌচাগারে অপেক্ষা করছিল। ওই বৃদ্ধ দম্পতি রাতে শৌচাগারে গেলে দুষ্কৃতীরা তাদের আক্রমণ করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement