কান্দিতে জওয়ানের অস্বাভাবিক মৃত্যু

এক সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানের মৃত্যু হল বিষক্রিয়ায়। বুধবার সকালে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে সঞ্জীব কৈবর্ত্ত (৩৪) নামে ওই জওয়ানের মৃত্যু হয়। কান্দি পুরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের রূপপুর জেলো পাড়ার ওই বাসিন্দা কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশের অনুমান। মৃতের বাবা শঙ্কর কৈবর্ত্ত জওয়ানের স্ত্রী কাকলিদেবী-সহ শ্বশুরবাড়ির চার জনের বিরুদ্ধে মৃত্যুর প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৪ ০০:২৮
Share:

এক সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানের মৃত্যু হল বিষক্রিয়ায়। বুধবার সকালে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে সঞ্জীব কৈবর্ত্ত (৩৪) নামে ওই জওয়ানের মৃত্যু হয়। কান্দি পুরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের রূপপুর জেলো পাড়ার ওই বাসিন্দা কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশের অনুমান। মৃতের বাবা শঙ্কর কৈবর্ত্ত জওয়ানের স্ত্রী কাকলিদেবী-সহ শ্বশুরবাড়ির চার জনের বিরুদ্ধে মৃত্যুর প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।

Advertisement

সঞ্জীব ২০০৩ সালে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কাজে যোগ দেন। বছর পাঁচেক আগে রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকার পিয়ারিপুর গ্রামে কাকলিদেবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। পরে তাঁদের দু’টি কন্যাসন্তান হয়। বছর দেড়েক আগে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি শুরু হলে ওই জওয়ান তাঁর শ্বশুরবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে বসবাস শুরু করেন। কর্মসূত্রে সম্প্রতি তিনি পঞ্জাবে ছিলেন। গত ১৭ মে সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে ওই জওয়ানের সঙ্গে স্ত্রী-র অশান্তি হত। মঙ্গলবার ফের এই নিয়ে অশান্তি হলে ওই জওয়ানকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করে বাড়ি থেকে বার করে দেন বলে অভিযোগ। পিয়ারিপুর গ্রামের এক যুবক ওই জওয়ানকে উদ্ধার করে কান্দির বাড়িতে দিয়ে যান। মৃতের বাবা শঙ্করবাবু বলেন, “শ্বশুরবাড়িতে মারধর খেয়ে অপমানিত হয়ে আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে। আমি ওদের শাস্তি চাই।” জওয়ানের শ্বশুর সুধাংশু দাস অবশ্য বলেন, “মেয়ে-জামাই পৃথক ভাড়াবাড়িতে বাস করত। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়েছিল হয়তো। আমাদের সঙ্গে কিছু হয়নি। আমরা কিছু জানি না।” কান্দি থানার আইসি কৌশিক ঘোষ বলেন, “ওই জওয়ানের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত্যুর প্ররোচনার মামলা রুজু হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement