আট বছরেও তৈরি হল না জলঙ্গির সেতু

আট বছরেও শেষ হল না রাধানগর ঘাট সেতু। জলঙ্গির এই সেতু হলে মুর্শিদাবাদের নওদার সঙ্গে যুক্ত হবে নদিয়ার পলাশিপাড়া। ফলে মুর্শিদাবাদের একটা বড় অংশ থেকে অনেক কম সময়ে নদিয়ার সদর শহর কৃষ্ণনগরে পৌঁছনো যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের যোজনা কমিশনের টাকায় ২০০৬ সালে শিলান্যাস হয়েছিল রাধানগর ঘাট সেতুর। তখন বলা হয়েছিল ২০০৮ সালের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।

Advertisement

সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়

নওদা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৪ ০০:১০
Share:

এই ভাবেই পড়ে রয়েছে অসমাপ্ত সেতু। —নিজস্ব চিত্র।

আট বছরেও শেষ হল না রাধানগর ঘাট সেতু। জলঙ্গির এই সেতু হলে মুর্শিদাবাদের নওদার সঙ্গে যুক্ত হবে নদিয়ার পলাশিপাড়া। ফলে মুর্শিদাবাদের একটা বড় অংশ থেকে অনেক কম সময়ে নদিয়ার সদর শহর কৃষ্ণনগরে পৌঁছনো যাবে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের যোজনা কমিশনের টাকায় ২০০৬ সালে শিলান্যাস হয়েছিল রাধানগর ঘাট সেতুর। তখন বলা হয়েছিল ২০০৮ সালের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ২০১৪ সালে এসেও কবে কাজ শেষ হবে বলতে পারছে না জেলা প্রশাসন।

অথচ, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের মধ্যে যোগাযোগকারী এই সেতু হয়ে গেলে দুই জেলা সদরের মধ্যে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়ে যেত। এখন বহরমপুর থেকে রাধানগর ঘাটের রাস্তায় ৬৫টি বাস চলাচল করে। ছোট গাড়ি চলে ২৭টা। অন্য পারে কৃষ্ণনগর-পাটিকাবাড়ি ঘাট রাজ্য সড়কেও বাস চলে প্রচুর। সেতুটি হয়ে গেলে দু’টি রাস্তা যুক্ত হবে। এর ফলে যাতায়াত যেমন সহজ হবে, তেমনই বিকল্প এই রাস্তার জন্য ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর চাপ কমবে। মুর্শিদাবাদ ফেডারেশন অফ বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তপন অধিকারী বলেন, ‘‘এই সেতু চালু হলে মুর্শিদাবাদের মানুষ সহজে কৃষ্ণনগর পৌঁছবে। সময় অনেকটা কম লাগবে। নওদার কাঁচা পেঁয়াজ, লঙ্কা, শসা, ঢ্যাঁড়শ, আখ অনেক দ্রুত কলকাতা পৌঁছতে পারবে।”

Advertisement

কংগ্রেসের বিধায়ক আবুতাদের খানের অভিযোগ, ‘‘আট বছর আগে সাংসদ অধীর চৌধুরী ও সেই সময়ের জেলা পরিষদের সভাধিপতি এই সেতুর শিলান্যাস করেছিলেন। শেষ করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল ২ বছর। কিন্তু আজও কাজ শেষ হল না। পূর্ত দফতরের গাফিলতিতেই এই অবস্থা। আগের বাম ও আজকের তৃণমূলের সরকারের উদাসীনতাও এর জন্য দায়ী।

তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি হুমায়ুন কবীর অবশ্য বলেন, ‘‘দেরির জন্য সরকারের ত্রুটি নেই। আমরা কাজ শেষ করার জন্য উপযুক্ত স্থানে দরবার করছি। কিন্তু যে এজেন্সি কাজ করছে তাদের কিছু সমস্যা থাকায় এত দেরি হচ্ছে।’’

পূর্ত দফতরের মুর্শিদাবাদ জেলা নির্বাহী বাস্তুকার শুভঙ্কর মাঝি বলেন, ‘‘প্রথম দিকে ওই এলাকায় জমি নিয়ে কিছু সমস্যা হয়েছিল। তার ফলে কাজ শুরু করতে দেরি হয়। আশা করছি এ বার দ্রুত কাজ শেষ করে ফেলতে পারব।” স্থানীয় লোকজন অবশ্য জমি নিয়ে কোনও সমস্যা হয়েছিল বলে মনে করতে পারছেন না। তেহট্ট ২ পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএমের সভাপতি বাসতুল্লা শেখ বলেন, “জমি নিয়ে কোনও সমস্যা আমার জানা নেই। সরকারের গড়িমসিতেই এত গুরুত্বপূর্ণ সেতু তৈরি হল না আজও।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement