অ্যাম্বুল্যান্স ভাঙচুর কান্দিতে

মোটর বাইক দুর্ঘটনায় জখম দুই রোগীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের চালকের দেখা না পেয়ে রোগীর আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা সাতটি অ্যাম্বুল্যান্স ভাঙচুর করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে কান্দি হাসপাতালের ঘটনা। ওই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৪ ০১:০৫
Share:

মোটর বাইক দুর্ঘটনায় জখম দুই রোগীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের চালকের দেখা না পেয়ে রোগীর আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা সাতটি অ্যাম্বুল্যান্স ভাঙচুর করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে কান্দি হাসপাতালের ঘটনা। ওই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই রাতে কান্দি-ডাকবাংলো রাজ্য সড়কের উপর কান্দির বহড়া সংলগ্ন এলাকায় ট্রাকের সাথে এক মোটর বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় ওই থানার মুনিগ্রামের বাসিন্দা আলম শেখ ও জিয়ারুল শেখ নামে দুই যুবক জখম হন। কান্দি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের চিকিৎসা দেরিতে শুরু করে বলে অভিযোগ। সেই সময়ও ওই রোগীর আত্মীয়রা ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তারপরে চিকিৎসকরা তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘রেফার’ করেন। ওই রোগীর আত্মীয়রা দেখেন অ্যাম্বুল্যান্স থাকলেও চালক নেই। তারপরেই রোগীর আত্মীয় ও পড়শিরা অ্যাম্বুল্যান্সগুলি ভাঙচুর করে। কান্দি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। ভাঙচুরের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করে। কান্দির আইসি কৌশিক ঘোষ বলেন, “জখম দুই রোগীকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে ওই গাড়িগুলি ভাঙচুর করে রোগীর আত্মীয়রা। ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে” জখম জিয়ারুলের দাদা মিনারুল ইসলাম বলেন, “আমার ভাইকে সকলেই ভালবাসেন। তাই ওর ওই অবস্থা দেখে অনেকেই মেজাজ হারিয়েছিলেন।” বিক্ষোভকারীদের অন্যতম মীরণ মোল্লা বলেন, “এখানে কথায় কথায় রোগীদের বহরমপুরে ‘রেফার’ করে দেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে নিজস্ব কোনও অ্যাম্বুল্যান্স নেই। এটা মানা যায় না।” হাসপাতাল সূত্রের খবর, হাসপাতালের একটি নিজস্ব অ্যাম্বুল্যান্সটি বিকল হয়ে গ্যারাজে পড়ে রয়েছে। রাতে অবশ্য বেশ কয়েকটি মাতৃযান থাকে। প্রয়োজন হলে সেগুলির চালকদের ফোন করে ডাকতে হয়। কান্দি মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা ওই হাসপাতালের সুপার ভাস্কর বৈষ্ণব বলেন, “কেন ওই মাতৃযানের চালকরা রাতে অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা আসেনি সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে আমরা পুলিশে৪র কাছেও অভিযোগ জানিয়েছি”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement