প্রতীকী ছবি।
প্রেমিকের বাড়ির সামনে জ্বলছেন প্রেমিকা। তা নেভানোর চেষ্টা করতে গিয়ে আগুন লেগে গিয়েছে প্রেমিকের শরীরেও। ধুবুলিয়ার ঝিটকেপোতা এলাকায় গত বুধবার সকালে এই দৃশ্য দেখে হতচকিত হয়ে যান আশপাশের মানুষ। ছুটে গিয়ে দু’জনের গায়ের আগুন নিভিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রেমিকার নাম পারভিনা খাতুন আর প্রেমিক সেকেন্দর শেখ। বুধবার রাতে পারভিনার পরিবারের তরফে সেকেন্দর, তাঁর বাবা, মা ও দাদার নামে পারভিনার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেকেন্দর আপাতত শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ তাঁর দাদাকে গ্রেফতার করেছে। বাকিরা পলাতক। তবে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, সেকেন্দরের পরিবার পারভিনা ও সেকেন্দরের বিয়েতে রাজি না হওয়ায় অপমানিত হয়ে গায়ে কেরোসিল তেল ঢেলে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন পারভিনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর আঠারোর পারভিনা খাতুনের সঙ্গে বছর দু’য়েক আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল গ্রামেরই বাসিন্দা বছর ছাব্বিশের সেকেন্দর শেখের। তাদের সম্পর্কের কথা গ্রামের প্রায় সকলেই জানতেন। সম্প্রতি দুই পরিবারের মধ্যে বিয়ে নিয়ে কথা শুরু হলে সেকেন্দরের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকার করে। অভিযোগ, সেকেন্দরও এড়িয়ে যেতে থাকেন পারভিনাকে। কিন্তু নাছো়ড় ছিলেন পারভিনা।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার সকালে পারভিনা হাজির হন সেকেন্দরের বাড়িতে। অভিযোগ, সেকেন্দরের পরিবারের লোকেরা তাঁকে নানা ভাবে অপমান করে। এর কিছু ক্ষণ পর প্রতিবেশীরা দেখতে পান, সেকেন্দরের বাড়ির সামনে জ্বলছেন পারভিনা। আর তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন সেকেন্দর। তাঁরও গায়ে আগুন ধরে গিয়েছে। তবে পারভিনার গায়ে কী করে আগুন ধরল তা কেউ দেখেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা ধুবুলিয়া -১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা আলো বিশ্বাস বলছেন, “মেয়েটিকে জ্বলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় এলাকার লোক। তবে তার আগে কী ঘটেছে তার প্রত্যক্ষদর্শী কেউ নেই। ফলে কারও কাছে তা স্পষ্ট নয়।’’