প্রতীকী ছবি
মানসিক ভারসাম্যহীন ২৮ বছরের এক মহিলাকে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ওই ঘটনার জেরে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার এই ঘটনা জানাজানি হয়। মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে মারধর করে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। তেহট্ট থানার চিলাখালি গ্রামের ঘটনা। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ওই অভিযুক্ত যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ধৃত ব্যক্তির নাম পাঁচু দাস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চিলাখালি গ্রামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাকার পথেঘাটে ঘুরে বেড়াতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে ওই মহিলাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তাঁর পরিবারের লোকজন। শুক্রবার সকালে ওই মহিলাকে অভিযুক্ত পাঁচু দাসের বাড়িতে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ওই ব্যক্তিকে জানতে চান, মহিলাকে সে কেন রাত থেকে নিজের বাড়িতে রেখেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনও কথার সদুত্তর
দিতে পারেনি।
এর পরেই গ্রামের মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তারা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বাড়ির বাইরে নিয়ে এসে মারধর শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযুক্ত যুবকের উপর চড়াও হওয়ার খরব পেয়ে তেহট্ট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তেহট্ট থানার আইসি তাপস পালের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এর পর উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে অভিযুক্তকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করায় পুলিশ।
এর পরে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে।