শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
কাজের প্রবল চাপ নিয়ে অনুযোগ করলে আর জি করের মতো পরিণতি হতে পারে বলে সুপার তাঁকে হুমকি দিয়েছেন— এমনই অভিযোগ করেছিলেন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার ওই হাসপাতাল ঘুরে দেখলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে দেখাও করেছেন তিনি।
প্যাথলজিতে এমডি ওই চিকিৎসক গত ৩০ ডিসেম্বর হাসপাতাল সুপার তারক বর্মনের বিরুদ্ধে নদিয়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং শান্তিপুর থানার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা এ দিন বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন, কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দাস তাঁর সঙ্গে ছিলেন, তাঁর নির্দেশে ইতিমধ্যেই সাত সদস্যের কমিটি তদন্ত করছে।
পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অর্চনা বলেন, “একটা অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত অস্বীকার করেছেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে কথা শোনা যাচ্ছে না। আমি দেখব কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না। কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে সেটাই আমরা নিশ্চিত করতে চাইছি।”
সেই সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, “অভিযোগ যখন হয়েছে, স্বাস্থ্য দফতর তদন্ত করছে। আমরাও রিপোর্ট জমা দেব। আশা করব, ভবিষ্যতে এ রকম অভিযোগ আসবে না।”
অভিযোগকারিণী চিকিৎসক আপাতত ছুটিতে রয়েছেন। ‘অমানবিক ডিউটি রস্টার’ নিয়ে তিনি যে অভিযোগ তুলেছিলেন সেই প্রসঙ্গে অর্চনা বলেন, “নিজের মতো করে হাসপাতাল চালানোর অধিকার সুপারের আছে। কিছু ভুলভ্রান্তি শোধরাতে বলেছি। আমার মনে হয় না, হাসপাতাল চালাতে কোনও অসুবিধা হবে।”
তবে বিষয়টিকে যে তাঁরা একেবারে হালকা ভাবে নিচ্ছেন না, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন আদতে বিজেপি নেত্রী অর্চনা। তিনি বলেন, "সদ্য পশ্চিমবঙ্গে আর জি করের মত একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এখানকার মহিলা, নার্স ও চিকিৎসকদের ঘর, শৌচালয়, সিসিটিভি, পর্যাপ্ত আলো এবং বাইরের নিরাপত্তা রক্ষীর বিষয়ে আমি জোর দিয়েছি।” তাঁর সংযোজন, “নিরাপত্তা না থাকলে মেয়েরা কাজ করতে পারে না। তা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেন তার উপরে আমরাজোর দিচ্ছি।"