Dharna demanding Marriage

প্রেমিকের জন্য স্বামী ত্যাগ, কিন্তু সংসার করতে নারাজ যুবক! মুর্শিদাবাদে ধর্নায় যুবতী

বছর একুশের তানিয়া বিবির দাবি, প্রেমিককে তাঁর বাড়ির লোকেরা লুকিয়ে রেখেছেন। তাঁর সঙ্গে দেখাও করতে দিচ্ছেন না। যত ক্ষণ না তাঁকে বউ করে ঘরে তোলা হবে, তত ক্ষণ তিনি ধর্না দিয়ে যাবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলঙ্গি শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২২ ১৩:০৭
Share:

ধর্নায় তানিয়া বিবি।

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে স্বামীর ঘর ছেড়েছিলেন যুবতী। ‘প্রেমিক’-এর সঙ্গে পালিয়ে তাঁকে বিয়েও করেছিলেন! কিন্তু বাড়ি ফিরে আসতেই মন বদলায় যুবকের। বিয়ে অস্বীকার করে সংসার করতে রাজি না হওয়ায় এ বার সেই যুবকের বাড়িতে ধর্নায় বসলেন যুবতী। রবিবার সকালে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির সাগরপাড়ায় খয়রামারি বাগিচাপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বছর একুশের তানিয়া বিবির দাবি, প্রেমিককে তাঁর বাড়ির লোকেরা লুকিয়ে রেখেছেন। তাঁর সঙ্গে দেখাও করতে দিচ্ছেন না। যত ক্ষণ না তাঁকে বউ করে ঘরে তোলা হবে, তত ক্ষণ তিনি ধর্না দিয়ে যাবেন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর তিনেক আগে এলাকায় তানিয়ার বিয়ে হয়েছিল। তার কিছু দিনের মধ্যে বাপের বাড়িতে ঘুরতে এসে প্রতিবেশী যুবক হাসিনুর মোল্লার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পর্যায়ক্রমে সেই সম্পর্ক গভীর হতেই স্বামীকে ছেড়ে হাসিনুরের সঙ্গে পালান তানিয়া। মাসখানেক আগে তাঁরা পালিয়ে বিয়ে করে কিছু দিন এক আত্মীয়ের বাড়িতে কাটান। অভিযোগ, সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পরেই হাসিনুর তানিয়ার সঙ্গে সংসার করতে অস্বীকার করেন। বিয়ে মানতেই রাজি হননি যুবক। কিছু দিনের মধ্যে তিনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান।

হাসিনুরের পরিবারের অবশ্য দাবি, ছেলেকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জোর থেকে। যুবকের বাবা হানিফ মোল্লা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তাঁর দাবি, ‘‘ছেলেকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। কয়েক দিন আগে যুবতীর বাড়ির লোকজন এসে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় হাসিনুরকে। তার পর থেকে তার আর খোঁজ মেলেনি।’’ ছেলেকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা হাসিনুরের পরিবারের।

Advertisement

যদিও তানিয়ার অভিযোগ, ‘‘হাসিনুর আমাকে আগের সংসার করতে দেয়নি। ওঁর ভরসায় স্বামীকে ছেড়ে এসেছি। কাতলামারীতে আমাদের বিয়ে হয়েছে। ওঁর বাড়ির লোকজন ওঁকে লুকিয়ে রেখেছে। যত ক্ষণ না আমাকে মেনে নেবে, আমি এখান থেকে উঠব না।’’

সকাল থেকে যুবতীর ধর্না ঘিরে উৎসাহী মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় বাসিন্দা ইসরাফ মণ্ডল বলছেন, ‘‘পাশাপাশি বাড়ি। এই নিয়ে মেয়েটির তৃতীয় বিয়ে। ওঁরা কোথাও একটা বিয়ে করেছে শুনলাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement