—প্রতীকী চিত্র
পণের জন্য এক তরুণীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল ওই তরুণীর স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। বছর খানেক আগে বিয়ে হয়েছিল ওই তরুণীর। অভিযোগ, গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়েছিলেন শাশুড়ি। গ্যাস লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী। টানা ১৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষতক হেরে গেলেন নাজরিন সুলতানা (২১)। বৃহস্পতিবার সকালে মারা গেলেন তিনি।
রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ আগেই ওই তরুণীর স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর পরে ওই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই পণের জন্য খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত দু’জনেই পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
রঘুনাথগঞ্জের আহম্মদপুরের নাজরিনের বিয়ে হয় পাশের গ্রাম কাটাখালিতে। নাজরিনের স্বামীর গরুর ব্যবসা রয়েছে। বিয়েতে সাধ্য মতো পণ দিয়েছিলেন নাজরিনের বাবা-মা।
অভিযোগ, সম্প্রতি আরও ৫০ হাজার টাকা পণের দাবি করছিল নাজরিনার স্বামী। সেই টাকা না পেয়ে নাজরিনার উপরে অত্যাচারও শুরু করেছিলেন তাঁর স্বামী। নাজরিনার পরিবারের অভিযোগ, পণের টাকা না পেয়েই নাজরিনের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে খুন করা হল।
অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় নাজরিনকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর পরিবারের পক্ষে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। তাঁকে বাবার বাড়িতেই ফিরিয়ে আনা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় নাজরিনার।
নাজরিনার মা সাহানারা বিবি বলেন, ‘‘জামাইকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। বহু বার বুঝিয়েও কোনও ফল হয়নি। তাই বলে মেয়েকে যে এ ভাবে পুড়িয়ে মেরে ফেলবে তা ভাবতে পারিনি।’’