নিগৃহীতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মেয়েদের উত্যক্ত করা নিয়ে গ্রামে অনেক দিন থেকেই তার দুর্নাম। তেহট্টের মোবারকপুর গ্রামের সেই শিশির মণ্ডলের বিরুদ্ধে এ বার গ্রামেরই এক বধূকে ধর্ষণের চেষ্টা এবং তাতে বাধা পেয়ে মহিলাকে বাঁশ দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিশির গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। তার বিরুদ্ধে তেহট্ট থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত মহিলার স্বামী। তাঁর কথায়, ‘‘আমি চাই ওর কড়া শাস্তি হোক, যাতে গ্রামের কোনও মেয়েকে আর ভুগতে না হয়। সবাই ওর ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, শিশিরকে ধরার সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।
মোবারকপুরেই বাড়ির পাশেই একটি দোকানে কাজ করেন ওই মহিলার স্বামী। তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ আমার স্ত্রী বাড়ি থেকে কিছু দূরে আমার বৌদির বাড়ি গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে শিশির ওর উপর চড়াও হয়। অশ্রাব্য গালি দিতে থাকে ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমার স্ত্রী আপ্রাণ বাধা দিলে সে বাঁশ দিয়ে আমার স্ত্রীকে পেটাতে থাকে। ওর মাথা ও ঘাড়ে চোট লাগে। সেই অবস্থায় বাঁচার জন্য চিৎকার করতে থাকে। আমার দোকান কাছেই ছিল। চিৎকার শুনে ছুটে আসি। ততক্ষণে শিশির পালায়।’’ সবিতা বলেন, ‘‘কঠোর সাজা চাই ওর। গ্রামের মেয়েগুলো তা হলে রক্ষা পাবে। ওর ভয়ে সন্ধ্যার পর কেউ রাস্তায় বের হতে পারে না।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, শিশির গ্রামে গুণ্ডামি করে বেড়ায়। গ্রামের মেয়েদের উত্যক্ত করে। প্রতিবাদ করলে খুন করার হুমকি দেয়। গ্রামের লোকেদের অভিযোগ, এর আগেও সে এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানি করেছিল এবং তাঁর স্বামীকে পিস্তল দেখিয়ে ভয় পাইয়ে মুখ বন্ধ করে রাখার হুকুম দিয়েছিল।
আক্রান্ত মহিলার স্বামীর বৌদিও অভিযোগ করেন, ‘‘এই ছেলেটি ভয়ঙ্কর। দু'মাস আগেও আমাকেও নানা কুপ্রস্তাব দিয়েছে। রাজি না হওয়ায় মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারার হুমকি দিয়েছে। অবিলম্বে ওকে গ্রেফতার করা দরকার।’’