সপ্তাহান্তে হাজারদুয়ারিতে পর্যটকের ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
শীতের শুরুতে মেঘলা দিন, নিম্নচাপ আর বৃষ্টির জেরে ঘরে বসেই দিন কাটছিল পর্যটকদের। তবে গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রার পারদ নিম্নগামী। শীত পড়তেই প্রাণ ফিরে পেয়েছে জেলার পর্যটন। গত কয়েক দিন ধরে পর্যটকদের ভিড়ে গমগম করছে লালবাগ। ক্রিসমাসের আগে গত শনি ও রবিবার পর্যটকের ভিড় ভাঙল জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। আর তা দেখে হাসি চওড়া হয়েছে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সকলের।
প্রতি বছর দুর্গাপুজোর পর থেকেই জেলায় শুরু হয়ে যায় পর্যটনের মরসুম। পর্যটকদের আনাগোনা চলে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত। তবে অতিমারির আবহে গত দু’ বছর ধরে মার খেয়েছে পর্যটন। ধুঁকছিলেন পর্যটনের উপর নির্ভরশীল ব্যবসায়ী, টাঙ্গাচালক, গাইডরাও। করোনার জেরে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পরেও পর্যটনে প্রাণ ফিরছিল না। তবে শীত পড়তেই ছবি বদলে গিয়েছে পর্যটকের অপেক্ষায় এত দিন হাপিত্যেশ করে বসে থাকা পর্যটনকেন্দ্রগুলির। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জাঁকিয়ে শীত পড়তেই দলে দলে পর্যটক আসছেন এই জেলায়।
গত শনি ও রবিবার রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক এসেছিলেন লালবাগে। ওই দু’দিন প্রায় পঞ্চাশটি বাস, প্রচুর ছোট ছোট গাড়ি পর্যটক নিয়ে ঢুকেছিল লালবাগে। ট্রেনেও অনেক পর্যটক এসেছিলেন জেলায়। প্রকৃতিতীর্থ মোতিঝিল সূত্রে খবর, শনি ও রবিবার মিলিয়ে প্রায় ১১ হাজার পর্যটক গিয়েছিলেন সেখানে। হাজারদুয়ারি, কাঠগোলা বাগান, কাটরা মসজিদেও পর্যটকরা ভিড় করেছিলেন। গাইড গোপাল দাস বলেন, ‘‘শীত পড়তেই পর্যটক আসছে। এমন আরও কিছু দিন চললে ক্ষতি কিছুটা পূরণ হবে।’’ মোতিঝিল চত্বরের এক পাইস হোটেলের মালিক মিলন সরকার বলেন, ‘‘ক’দিন ধরে ভালই বিক্রিবাটা হচ্ছে। ক্রিসমাসের সময় আরও ভিড় হবে বলেই মনে হয়। সেই ইঙ্গিত গত কয়েক দিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছে।’’ টাঙ্গা ইউনিয়নের সম্পাদক মনু শেখ বলেন, ‘‘সপ্তাহান্তে বড় বাস, ছোট গাড়িতে বহু পর্যটক এসেছিলেন। মনে হয় এ বার পরিস্থিতি বদলাবে।’’