— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দুই নাবালক সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে ভরা সংসার। কিন্তু মন টেকেনি ঘরে। পরস্ত্রীর হাত ধরে পালিয়ে গেলেন যুবক। মুর্শিদাবাদের সালারের ঘটনা। স্বামীকে খুঁজে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, তিন সন্তানের মা তাঁর স্বামীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন।
সালারের কাগ্রামের বাসিন্দা নজিফা খাতুনের বিয়ে হয়েছিল সালার থানার হামিদপুরের এক ব্যক্তির। দম্পতির একটি পুত্রসন্তান এবং যমজ কন্যাসন্তান রয়েছে। তবে বছরখানেক আগে অসুস্থ হয়ে নজিফার স্বামী মারা যান। তখন তিন সন্তানকে নিয়ে কাগ্রামে বাপের বাড়িতে ওঠেন নজিফা। তাঁর সঙ্গে সম্প্রতি ঘনিষ্ঠতা বাড়ে জনৈক শাহবুদ্দিনের। তাঁর স্ত্রী কোহিনুর বিবির দাবি, স্বামী ব্যবসায়িক কারণে বিহারে গিয়েছিলেন। সেখানে থাকতে থাকতেই নজিফার সঙ্গে ফোনে আলাপ হয় এবং সেখান থেকে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্বামী। বিহার থেকে ফিরেও গাজীপুরের বাড়িতে ফেরেননি শাহবুদ্দিন। ওই বধূ বলেন, ‘‘বিহার থেকে বাড়ি না গিয়ে কাগ্রামে ওই মহিলার বাড়িতে গিয়ে ওঠে আমার স্বামী। জানতে পেরেছি, দিন কুড়ি আগে ওই মহিলাকে বিয়েও করেছে আমার স্বামী। জানতে পেরে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু আমার স্বামীকে নিয়ে ওই মহিলা তার বাপের বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে।’’
এই ঘটনা জানাজানি হতে গোটা কাগ্রামে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নজিফার বাবা নজরুল শেখ বলেন, ‘‘মেয়ে যে বিয়ে করেছে, সে খবর জানতাম না। মেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে বিয়ের কথা জানতে পেরেছি। নিজের ভালমন্দ নিজে বুঝেছে। এতে আমার কী বলার আছে!’’ অন্য দিকে, দুই সন্তান নিয়ে কোহিনুর পড়েছেন আতান্তরে। তাঁর দাবি, অনেক টাকার ঋণ রয়েছে পরিবারের। কী ভাবে সংসার চালাবেন, কী ভাবে ঋণশোধ করবেন, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তিনি। থানায় অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা ঋণের কিস্তি দিতে হয়। ওই টাকা মেটাতে না পারলে সন্তানদের নিয়ে পথে বসতে হবে আমাকে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।