কুপার্স ক্যাম্প, ফাইল চিত্র।
জাতীয় নাগরিক পঞ্জী নিয়ে শাসক দল কুপার্স শহরে তুমুল আন্দোলন করেছিল। সভা,পথসভা,মিছিল করেছিল। কিন্তু নাগরিকত্ব বিল লোকসভা ও রাজ্য সভায় পাশ হওয়ার পর তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কুপার্সে কোনও প্রতিবাদ আন্দোলনে দেখা যাচ্ছে না। এতে এলাকার অনেকেই আশাহত। শাসক দলের এই নীরবতার কারণ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
সিএবি নিয়ে সোমবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মূলত বাংলার শরণার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘যে (অ-মুসলিম) শরণার্থীরা ভারতে শরণ নিয়েছেন তাঁরাই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।’’ কিন্তু বিজেপি যতই বলুক, আশ্বস্ত হতে পারছে না উদ্বাস্তু-অধ্যুষিত কুপার্স। এলাকার অনেকেই মনে করছিলেন, এই সময়ে শাসক দলকে পাশে পাবেন এবং তাদের সাহায্যে বড় আন্দোলনে ঝাঁপাবেন। তা এখনও সম্ভব হয়নি।
বিজেপির কুপার্স শহর মণ্ডলের সভাপতি দীপক দে বলেন,“এখানে তৃণমূলের মুখ মুড়েছে। ওরা মানুষকে মিথ্যা বলেছিল। বলেছিল, এখানকার সবাইকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আমার বলেছিলাম, আগে নাগরিকত্ব বিল প্রকাশ হবে, তার পরে এন আর সি হবে। সেটা প্রমাণিত হয়েছে। আর ওরা কোন মুখে এখানে আসবে?” কুপার্স শহর তৃণমূলের সভাপতি ও কাউন্সিলার পিন্টু দত্ত অবশ্য বলেন, “দলের নির্দেশ পেলে আমরা লড়াই করব। কে কী বলছেন, তা জানি না। আমরা এই বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা আগেই বলেছি, এখনও বলছি, আমরা এটা মানি না।”
সম্মিলিত কেন্দ্রীর বাস্তুহারা পরিষদের জেল সম্পাদক অশোক চক্রবর্তীর কথায়, “কোন দল কী করল, সেটা বড় বিষয় নয়। বড় কথা হল, এর সঙ্গে সকলের বিপদ জড়িয়ে রয়েছে। সেই কারণে আমরা মানুষের কাছে যাব। সবাইকে নিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করব। অন্য দলগুলিকে বলব, তারা তাদের মতো করে এর বিরোধিতা করুক। একটা কথা মনে রাখতে হবে, এর থেকে হিন্দুরা বাঁচল বলে যেটা বলা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়।”