ফাইল চিত্র।
বজ্রপাতে মৃত্যু পশ্চিম মেদিনীপুরে। দুপুরের পর থেকে টানা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে ডেবরা থানার কাঁকড়া আত্মারাম এলাকার সীতা হেমব্রম (৪৫) নামে এক মহিলার। পুলিশ সূত্রে খবর, দুপুরে চাষের জমিতে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয়েরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মঙ্গলবার নদিয়ার করিমপুরেও বাজ পড়ে দু’জনের মৃত্যু হল। মাঠে কাজ করতে গিয়েই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে হোগলবেড়িয়া থানা এলাকার ওই দুই ব্যক্তির। মৃতদের নাম ইন্দ্রজিৎ সরকার (৬২) ও উত্তম প্রামাণিক (৩২)। আহতও হয়েছেন এক জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যার মাঠের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে গুরুতর জখম হন ইন্দ্রজিৎ। স্থানীয়েরা তাঁকে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। উত্তমও মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রাঘাতে আহত হন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ইন্দ্রজিতের ভাই বিশ্বজি সরকার বলেন, ‘‘তিন জন মিলে মাঠে একসঙ্গে পাটকাঠি জড়ো করার কাজ করছিলেন। সেই সময় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। বাকি দু’জন অন্যত্র সরে গেলেও দাদা কাজ করছিলেন। কাজ শেষ করে ফেরার সময় বজ্রাঘাতে আক্রান্ত হয় দাদা।’’ প্রসঙ্গত, চলতি মরসুমে শুধুমাত্র নদিয়া জেলাতেই এই নিয়ে বজ্রঘাতে মৃত্যু হল ২১ জনের।