পুরসভা হবে কবে, প্রতীক্ষার অন্ত নেই

তেহট্টের বাসিন্দাদের আক্ষেপ, পুর নির্বাচনের পরে বোর্ডও গঠন হয়ে গিয়েছে হরিণঘাটায়। কিন্তু এত দিন পরেও মহকুমাশহর তেহট্ট পুরসভা হল না। ফলে পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শহরের মানুষ।  

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

তেহট্ট শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৫১
Share:

তেহট্ট মহকুমা হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র

একই সঙ্গে ঘোষণা হয়েছিল।

Advertisement

নদিয়ায় প্রশাসনিক সভায় এসে হরিণঘাটা ও তেহট্ট পুরসভা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হরিণঘাটা পুরসভা হলেও তেহট্টের বরাত খোলেনি।

তেহট্টের বাসিন্দাদের আক্ষেপ, পুর নির্বাচনের পরে বোর্ডও গঠন হয়ে গিয়েছে হরিণঘাটায়। কিন্তু এত দিন পরেও মহকুমাশহর তেহট্ট পুরসভা হল না। ফলে পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শহরের মানুষ।

Advertisement

তেহট্টবাসীর আক্ষেপ, এর আগে বাম আমলেও এক বার তেহট্টকে পুরসভা করার কথা ঘোষণা হয়েছিল। তা হয়নি। তার পরে ফের মমতার ঘোষণা শুনে আশায় বুক বেঁধেছিলেন শহরবাসী। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো গত কয়েক বছরে তেহট্টে নতুন সরকারি কলেজ, আইটিআই এবং পলিটেকনিক কলেজ হয়েছে। শুধু পুরসভা করার বেলাতেই গড়িমসি।

তেহট্টের বাসিন্দা সরোজ প্রামানিক বলেন, “বাম আমলে, ১৯৯৬ সালে তেহট্ট মহকুমা হয়েছে। তার পর থেকেই এলাকার মানুষ শুনে আসছে, তেহট্ট পুরসভা হবে। তার জন্য কয়েক বার সমীক্ষাও হয়েছে। কিন্তু পুরসভা করার ব্যাপারে আর কোনও পদক্ষেপ করেনি বাম সরকার। কেন তা হল না, তাও সকলের কাছে অজানা।’’

সরোজের মতো অনেকেরই আক্ষেপ, এখানে পঞ্চায়েত পরিষেবা থাকলেও পুরসভার পরিষেবা পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। অনেকেই আশা করেছিলেন রাজ্যে পালাবদলের পরে তেহট্টের বরাত খুলবে। তেহট্টের আর এক বাসিন্দা স্বপ্না ভট্টাচার্য বলেন, “এই সরকারের সময়ে এলাকায় বেশ কয়েকটি কলেজ তৈরি হয়েছে। জলঙ্গি নদীর পাড়ে একটি শ্মশান থাকলেও শব দাহ করার জন্য চুল্লি ছিল না। সেই কাজ হয়েছে। খেলাধুলোর জন্য একটি স্টেডিয়াম তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। এবার পুরসভা হলেই খুশি হবেন সবাই।”

সিপিএমের তেহট্ট এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাসের অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের কাজে মন নেই। মেলা-খেলা দান-খয়রাতি করে টাকা খরচ করছে। পুরসভা গঠন করার অবকাশ তাদের কোথায়? তাঁর দাবি, ‘‘এই সরকার রাজনৈতিক কারণেই তেহট্টকে পুরসভা হতে দিচ্ছে না। কেননা প্রথমে তেহট্ট পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে পুরসভা গঠনের সমীক্ষা হয়েছিল। পরে পার্শ্ববর্তী নাটনা ও রঘুনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু অংশ যোগ করার জন্য মার্চ পিটিশন করা হয়েছিল। ঘোষিত এলাকায় তৃণমূলের থেকে বিরোধীরা বেশি শক্তিশালী এবং পুরভোট হলে নিশ্চিত হার হবে জেনেই তেহট্টেকে পুরসভা করা হচ্ছে না।’’

তেহট্টের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত অবশ্য জানান, তেহট্টকে পুরসভা করার সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েই আছে। তা বাস্তবায়িত হতে একটু সময় লাগছে, এই যা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement