সাগরদিঘিতে হার এখনও ভাবাচ্ছে শাসক দলকে। — ফাইল চিত্র।
সাগরদিঘি নিয়ে মাথাব্যথা কমছে না শাসক দলের। জেলার সব ব্লকে তৃণমূলের ব্লক কমিটি ঘোষণা হলেও সাগরদিঘি ও লালগোলা ব্লক কমিটি গঠন থমকে গেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে। কবে নাগাদ ওই দুই কমিটি গঠিত হবে, তা এখনও সুনিশ্চিত নয়। তবে জটিলতা সব চেয়ে বেশি সাগরদিঘিতে।
ব্লক কমিটি না থাকায় সাগরদিঘিতে পঞ্চায়েতের এক একটি আসনে ৪-৫ জন করে প্রার্থী হতে চাইছে। যাঁকেই প্রার্থী করা হবে না, আশঙ্কা করা হচ্ছে তিনিই নির্দল বা অন্য দলের প্রতীকে দাঁড়িয়ে যাবেন। সে ক্ষেত্রে সাগরদিঘি চিন্তা বাড়াচ্ছে তৃণমূল নেতাদের।
দলের অন্দরের খবর, ২৪ এপ্রিল রাজ্য কমিটির নেতা ফিরহাদ হাকিম জঙ্গিপুরে আসবেন। তখনই জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। গোলমালের আশঙ্কায় দুটি ব্লকেরই কমিটি তাঁকে দিয়েই ঘোষণা করা হতে পারে।
এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন জঙ্গিপুরের সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন মহল থেকেই কমিটির জন্য বহু নাম রাজ্য কমিটির কাছে জমা পড়েছে। তা নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। সাগরদিঘিতে কমিটি গড়ার ক্ষেত্রে সমস্যাটা কিছুটা বেশি। সভাপতি পদে নতুন কিছু ভাবনা চিন্তা চলছে। তবে লালগোলায় ব্লক কমিটি ঘোষিত হবে খুব তাড়াতাড়ি।”
ইতিমধ্যেই জঙ্গিপুরের পেল্লাই জেলা কমিটি ঘোষিত হয়েছে প্রায় ২০০ জনকে নিয়ে। এদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশেরও বেশি ঠিকাদারি সংস্থার সঙ্গে জড়িত, দল যাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলেছিল। এমন অনেক নাম রয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। এ নিয়ে দলের মধ্যে সমালোচনাও হচ্ছে বিস্তর। এমনকি বেশ কয়েক জন ব্লক সভাপতি নিজে বা বেনামে ঠিকাদারি করেন।
জেলা কমিটির এক সহ সভাপতি বলেন, “জেলা কমিটি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে তো বটেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে।” খলিলুর বলেন, “লালগোলা নিয়ে বড়সড় সমস্যা নেই। সাগরদিঘি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। আমরা যা বলার বলেছি। এখনও পর্যন্ত ওই দুই ব্লকের কমিটি নিয়ে কোনও নির্দেশ আসেনি। ২৪ এপ্রিল ফিরহাদ হাকিম আসার কথা। তিনি জেলা কমিটির নেতাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছেন। জেলা কমিটি গঠনে আমাদের ভূমিকা নেই। সবটাই হয়েছে রাজ্য কমিটির নির্দেশে।’’