মনোনয়ন প্রক্রিয়ার প্রথম দিনেই শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ২ ব্লক। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার প্রথম দিনেই শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ২ ব্লক। দু’পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। তাঁদের সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ব্লক অফিসে সর্বদল বৈঠক সেরে বেরিয়ে মিছিল করে যাওয়ার সময় সালার ব্যাসস্ট্যান্ডের কাছে যুব তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে ভরতপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের অনুগামীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অন্তত ১৫ জন জখম হন বলে খবর তৃণমূল সূত্রে। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের প্রথম দিনেই এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই নির্বাচন আদৌ শান্তিপূর্ণ হবে কি না। বিধায়ক হুমায়ুন এই ঘটনার জন্য দলের ব্লক সভাপতিকে দায়ী করে বলেন, ‘‘ব্লক সভাপতির অনুগামীরা বাইক মিছিল করে এসে যুব অফিসে চড়াও হন। পঞ্চায়েতের সমস্ত টিকিট কব্জা করতে চাইছেন ব্লক সভাপতি। এটা হয় না।’’ অন্য দিকে, মোস্তাফিজুর বলেন, ‘‘সকলকে সংযত হতে হবে। প্রার্থী ঠিক করবে দল। এখানে কারও দাদাগিরি চলবে না।’’
এই ঘটনায় শাসকদলকে কটাক্ষ করতে শুরু করে বিজেপি। বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘আগামী ৫ বছর পঞ্চায়েত দখল করে লুটেপুটে খাওয়ার খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলে। সর্বোচ্চ শক্তি প্রদর্শন করে ক্ষমতা দখলের মরিয়া চেষ্টা। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।’’ গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে শাসক তৃণমূল। বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনি সিংহরায় বলেন, ‘‘মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে কোথাও কোনো গন্ডগোল হয়নি। কোথাও কোনও ভুল বোঝাবুঝি থাকলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করি মিটিয়ে নেওয়া হবে।’’