প্রতীকী ছবি।
আসন সংখ্যা ১৬, প্রার্থী হতে ইচ্ছুক আবেদন প্রার্থী ৭৭।
মুর্শিদাবাদ পুরসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হতে ‘বাঁধ ভেঙেছে’ বলে দাবি করছেন দলের বিদায়ী পুরপ্রধান বিপ্লব চক্রবর্তী। পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টি সংরক্ষিত রয়েছে। তার মধ্যে ৬টি ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। ১ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ড তপশিলি জাতি-উপজাতির মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। এই অবস্থায় মুর্শিদাবাদ পুরসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হতে চেয়ে পুরুষ-মহিলা মিলিয়ে বায়োডেটা জমা দিয়েছেন ৭৭ জন।
তবে, আবেদনের তালিকার পুরুষদের পিছনে ফেলে দিয়েছেন মহিলারা। পুরুষদের বায়োডেটা জমা পড়ছ ২৯টি। তার মধ্য়ে বেশ কয়েক জন বর্তমান কাউন্সিলর। সেখানে মহিলাদের বায়োডেটা জমা পড়ছে ৪৮টি। তাঁদের মধ্যে এক জন স্কুল শিক্ষিকা বাকিদের অধিকাংশই নিতান্তই বাড়ির সাংসারিক দায় সামাল দেওয়া মহিলা।
প্রার্থী হতে চেয়ে বায়োডেটা জমা দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শর্মিষ্ঠা সেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পাড়ায় সকলেই আমাকে খুব পছন্দ করে। আমার মনে হয় সকলের এই ভালবাসা নিয়ে আমি ঠিক জয়ী হব।’’ প্রার্থী হতে চেয়ে বায়োডেটা জমা করেছেন স্কুল শিক্ষিকা অপর্ণা দাস। তিনি শক্তিপুর কুমার মহিমচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা। তাঁর কথায়, ‘‘আমার পরিবার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আমি দেখেছি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কিভাবে সেবা করতে পারলে তার আনন্দ। আমার অনুপ্রেরণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁকে দেখেই আমি রাজনীতিতে আসতে চাই, মানুষের জন্য কিছু করতে চাই।’’
তবে, পুরপ্রধান তৃণমূলের বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হতে চেয়ে পুরুষদের আবেদনের চেয়ে অনেক বেশী আবেদন জমা পড়েছে মহিলাদের। তার মধ্যে বেশীরভাগই স্থানীয় আটপৌরে মহিলা। তাঁদের দলের প্রতি ভরসা আর ভালবাসা দেকে আমি অভিভুত। তবে প্রার্থী কারা হবে, তা ঠিক করবে জেলার শীর্য নেতারা।’’