প্রতীকী ছবি
জট কেটেও কাটছে না। আসন রফার জন্য বাম-কংগ্রেসের একের পর এক বৈঠক চলেছেই। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত ফসপ্রসূ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় কাটেনি।
প্রথম বাম-কংগ্রেস বৈঠকের পর বামের পক্ষে জানান হয়েছিল, বেলডাঙা পুরসভার ১৪টি আসনে ৭-৭ আসনে লড়াই করবে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। সাতটি আসন সিপিএম ও আরএসপি নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবে। তার পর পুরসভা ভোট প্রস্তুতি নিয়ে বেলডাঙা শহর কংগ্রেসের সভায় উপস্থিত হন সাংসদ অধীর চৌধুরী। আসন রফা নিয়ে তাঁর কাছেও আর্জি জানান বামেরা। সেই মতো শনিবার রাতে দুই পক্ষ আসন রফা নিয়ে বৈঠকে বসে। সেখানে কংগ্রেসের পক্ষে ৮টি আসন দাবি করা হয়। বামেদের ৬টি আসনের কথা বলা হয়। তাতে আরএসপি শামিল হয়নি। তবে কি তারা বামফ্রন্টের মধ্যে থাকছে না! তৈরি হয় সংশয়।
রবিবার আরএসপি’র বেলডাঙা জোনাল কমিটির সম্পাদক মৃণাল সাহা বলেন, “প্রথম বার কংগ্রেসের সঙ্গে ও পরে বামের শরিক সিপিএমের সঙ্গে জোট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় আমরা ছিলাম। তবে শনিবারের বৈঠকের কথা আমাদের জানানো হয়নি। ফলে এই নিয়ে কিছু বলার নেই।”
শনিবার রাতে এক বাম নেতার বাড়িতে সিপিএম ও কংগ্রেসের আসন রফা নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে সিএমের পক্ষে তিন এরিয়া কমিটির সদস্য ও কংগ্রেসের পক্ষে শহর ও ব্লক নেত্বত্বের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার প্রথমে বিগত নির্বাচনগুলিতে কে-কটি আসনে জিতেছিল সেই নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে কংগ্রেস ৭টি ও বামফ্রন্টের পক্ষে ৪টি আসন ছিল। সেখানে কংগ্রেস দাবি করে, একক ভাবেই তারা ৭টি আসন জেতে। বিজেপি’র ঝুলিতে ছিল তিনটি আসন। সেই আসনের ভাগ কে পাবে এই নিয়ে বৈঠকে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করা হয়। পরে কংগ্রেস ৮টি আসন দাবি করে ও বাকি ৬টি সিপিএম আরএসপি লড়াই করুক। কিন্তু আরএসপি এই বৈঠকে উপস্থিত না থাকায় চুড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সিপিএম। সভায় উপস্থিত সিপিএমের বেলডাঙা এরিয়া কমিটির সদস্য চন্দন দাস বলেন, “বৈঠকে দুই পক্ষের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিল। উভয় পক্ষ গত বারের জেতা আসন নিজেদের পক্ষে রাখতে চেয়েছে। গত বার বিজেপি যে তিন আসনে জিতেছিল সেই আসনের দখল কে রাখবে সেই নিয়েও বিস্তর আলোচনা ও টানাপড়েন চলেছে।’’
কংগ্রেসের শহর সভাপতি কিশোর ভাষ্কর বলেন, “বৈঠক হয়েছে। আমরা বামকে নিয়ে যৌথ বৈঠক করে আসন রফার কথা সংবাদ মাধ্যম কে জানাব।”