West Bengal Lockdown

ভাগলপুরে আটকেরা ‘কোটার পথে’ই ফিরতে চায়

দিন কয়েক আগে দীর্ঘ বাস-যাত্রার পরে সুদূর কোটা থেকে আড়াই দিনের যাত্রা শেষে ১৭৫ জন পড়ুয়া ফিরেছিলেন তাঁদের নিজের গ্রামে।

Advertisement

মফিদুল ইসলাম

হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২০ ০০:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজস্থানের কোটার পরে এ বার বিহারের ভাগলপুর।

Advertisement

দিন কয়েক আগে দীর্ঘ বাস-যাত্রার পরে সুদূর কোটা থেকে আড়াই দিনের যাত্রা শেষে ১৭৫ জন পড়ুয়া ফিরেছিলেন তাঁদের নিজের গ্রামে। তাঁদের ঘরে ফেরানোর সরকারি সেই উদ্যোগকে সামনে রেখে বিহারের ভাগলপুরে আটকে পড়া জেলার বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী এ বার আপন গৃহে ফেরানোর দাবি জানালেন। তাঁদের পরিবারের দাবি একই ভাবে উদ্যোগী হোক রাজ্য সরকার, ফিরিয়ে আনা হোক গ্রামে। হরিহরপাড়া, ডোমকল, জলঙ্গি-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বেশ কিছু পড়ুয়া পড়েন বিহারের তিলকা মাজি ভাগলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজে। অধিকাংশই স্নাতক স্তরের পড়ুয়া। অনেকে আবার স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষায় আবেদন করে সেখানে কোচিং ক্লাশের কোর্সও করছেন অনেকে। কিন্তু লকডাউনে সব হিসেব উল্টে গিয়েছে। সেই সব সরকারি পরীক্ষা আপাতত স্থগিত। স্নাতক স্তরের পঠনপাঠনও দেশ জুড়ে বন্ধ, ১০ জুন পর্যন্ত। অনেক কলেজেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে ছাত্রাবাস। ফলে পড়াশোনা তো দূরঅস্ত, তাঁদের খাওয়া থাকাই এখন সমস্যার মুখে। বিহারের ভাগলপুর আটকে পড়া এমনই ছাত্রেরা মুর্শিদাবাদের পাশপাশি পড়শি মালদহ, বীরভূমের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। ভাগলপুর শহরের পাঙখাটুলি এলাকায় এমনই ১০ জন বাঙালি পড়ুয়া আটকে রয়েছেন। জানা গিয়েছে তাঁরা মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া, জলঙ্গি, মালদহের চাঁচল, বীরভূমের নলহাটি এলাকার বাসিন্দা। লকডাউনের কারণে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবাস। তাঁদেরই এক জনের কথায়, ‘‘কোনওক্রমে মাথা গুঁজে পড়ে রয়েছি। টাকাও ফুরিয়ে এসেছে। আশপাশে এটিএমে গিয়ে টাকা তোলার উপায় নেই। প্রায় না খেতে পেয়ে থাকার জোগাড়।’’

জলঙ্গির বাসিন্দা সামিম হোসেন ভাগলপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর সেখানেই তিনি চাকুরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। লক ডাউনের কারনে পাঙখাটুলির মেসে আটকে তিনি। সামিম বলেন, ‘‘লক ডাউনে বন্ধ ক্লাস। বাইরে বেরোতে পারছি না।রান্নার লোক আসছেন না। জিনিসপত্র ঠিকমত পাচ্ছি না, আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে।’’ হরিহরপাড়া বাসিন্দা জিশান আলি মিঞা বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। জিশান বলছেন, ‘‘টাকা নেই। বাইরে বেরোতেও কড়াকড়ি, ঠিক মত খাবার মিলছে না। এক বেলা সেদ্ধ ভাত খেয়ে রয়েছি।’’ হরিহরপাড়ার বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যালের কাছে দরবার করেছেন অভিভাবকেরা। পূর্ণেন্দু বলেন, ‘‘এই বিষয়টা তো এত দিন আমাদের গোচরে ছিল না, রাতারাতি তো ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। কী করে ফেরানো যায় তা দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement