—ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার ফিরেছিলেন ১০ জন। আর বুধবার কেরল থেকে জেলা ফিরেছেন আরও ৬১ জন শ্রমিক। তাঁদের প্রথমে নামানো হয় বহরমপুর স্টেশনে। সেখানে এক দফা শারীরিক পরীক্ষার পর বাসে করে নিয়ে আসা হয় নদিয়া ও বর্ধমান সীমানায় দেবগ্রামের পথসাথীতে। সেখানে থার্মাল গান দিয়ে পরীক্ষার পর পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাড়়ির কাছাকাছি কোয়রান্টিন সেন্টারে।
এ ছাড়াও রায়গঞ্জ থেকে বাসে ফিরিয়ে আনা হয়েছে প্রায় দু’শো পরিযায়ী শ্রমিককে। তাঁদেরকেও দেবগ্রামে নামিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষার পর জেলার বিভিন্ন কোয়রান্টিন সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। জেলার স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কথায়, “এখন পরিস্থিতে ক্রমশ খারাপের দিকে যাবে। তাই কোনও রকম ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। তাঁদের রিপোর্টের ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিৎ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনও ভাবেই বাড়ি পাঠাতে পারব না।”
এ দিকে মঙ্গলবার যাঁরা রাজস্থান থেকে ফিরেছেন তাঁদের এক জন শান্তিপুরের ভোলাডাঙার বাসিন্দা বছর পঁয়তাল্লিশের এক জনের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করতে পেরেছিল আনন্দবাজার পত্রিকা। আপাতত তিনি ফুলিয়া কোয়রান্টিন সেন্টারে রয়েছেন। টেলিফোনের ও পার থেকে বললেন, “জানেন, নাতনিটার বয়স মাত্র আট মাস। ওকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।”
তিনি জানিয়েছেন, ডানকুনি স্টেশন থেকে বাসে করে আসার সময়ে নদিয়ার মোহনপুর ফাঁড়ির সামনে তাঁদের নামিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে থার্মাল গান দিয়ে পরীক্ষা করার পর শান্তিপুরের চার জনকে গাড়়িতে করে নিয়ে আসা হয় ফুলিয়ায়। রাতে ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আবার পরীক্ষা করে হয় তাঁদের। সেখান থেকে সোজা কোয়রান্টিন সেন্টারে। বুধবার সকালে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শান্তিপুরের চার জন, চাকদহের তিন জন, ধান তলার দু’জন আর হরিণঘাটার এক জন মঙ্গলবার রাজস্থানের অজমেঢ়় শরিফ থেকে ফিরেছেন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)