KMC ELECTION 2020 tmc cpim

কং-বাম জোটে ঠাঁই ওয়েলফেয়ার পার্টির

নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আন্দোলনে  শুরু থেকে বাম-কংগ্রেস দু’দলই ওয়েলফেয়ার পার্টিকে নিয়ে যৌথ আন্দোলন করেছে জঙ্গিপুরে। জঙ্গিপুর শহরের মহম্মদপুরে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শাহিনবাগের সমর্থনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে ওয়েলফেয়ার পার্টির সমর্থকেরা। সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারাও  সে মঞ্চে যোগ দিয়েছেন। হয়েছে যৌথ মিছিলও। সেই ‘বন্ধুত্ব’তের ছায়া পড়ল আসন রফায়।

Advertisement

বিমান হাজরা

জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২০ ০৪:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাম ও কংগ্রেস জোটে জঙ্গিপুরে ঢুকে পড়তে চলেছে ওয়েলফেয়ার পার্টি। দুই দলই ২১টি ওয়ার্ডের মধ্য দু’টি আসন ওয়েলফেয়ার পার্টিকে ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আন্দোলনে শুরু থেকে বাম-কংগ্রেস দু’দলই ওয়েলফেয়ার পার্টিকে নিয়ে যৌথ আন্দোলন করেছে জঙ্গিপুরে। জঙ্গিপুর শহরের মহম্মদপুরে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শাহিনবাগের সমর্থনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে ওয়েলফেয়ার পার্টির সমর্থকেরা। সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারাও সে মঞ্চে যোগ দিয়েছেন। হয়েছে যৌথ মিছিলও। সেই ‘বন্ধুত্ব’তের ছায়া পড়ল আসন রফায়।

কংগ্রেসের জঙ্গিপুর মহকুমা সভাপতি হাসানুজ্জামান বাপ্পা অবশ্য বলছেন, “কংগ্রেস ও বামেরা পুরসভায় লড়তে ধর্ম নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল জোট গড়েছে, এটুকু বলতে পারি। মূল উদ্দেশ্য তৃণমূল-বিজেপিকে হারানো। সেই কারণেই জঙ্গিপুরে নির্দল হিসেবে একটি বা দুটি ওয়ার্ড কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে এমনই আলোচনা হয়েছে।” তবে এই নির্দল কারা তা স্পষ্ট বলতে চাননি কংগ্রেস নেতা। তিনি জানান, জোটের সমস্ত বিষয় জানানো হয়েছে জেলা কংগ্রেস নেতাদের। অধীর চৌধুরী জেলায় ফিরলে তার নির্দেশ মেনেই সব ঠিক হবে। তবে সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য সোমনাথ সিংহ রায় অবশ্য সরাসরি বলেন, “জঙ্গিপুরে বাম-কংগ্রেস জোট হয়েছে। ওয়েল ফেয়ার পার্টি জোটে আসতে চেয়েছে। তাই একটি বা দু’টি আসন তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। ওয়েলফেয়ার পার্টির তো নিজস্ব কোনও প্রতীক নেই, তাই নির্দল হিসেবেই জোটের প্রার্থী হয়ে লড়বে তারা।” ওয়েলফেয়ার পার্টির জঙ্গিপুরের সম্পাদক আবু তাহের আনসারি বলেন, “ কংগ্রেস ও বাম জোটের সঙ্গে পুর নির্বাচনে যৌথভাবে লড়াই নিয়ে আলোচনা চলছে। এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। কটি আসন আমরা পাব, কোন ওয়ার্ড, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে আলোচনা চলছে। এক সঙ্গে লড়াইয়ের মানসিকতা রয়েছে আমাদের।” গত পুর নির্বাচনে ২১টির মধ্যে ১৪টি আসনে জয়ী হয়েছিল বামেরা । ৫টি পেয়েছিল কংগ্রেস। একটি করে আসন পায় এসইউসি ও বিজেপি। তৃণমূলের ভাঁড়ার ছিল শূন্য। এসইউসি আগেই জানিয়ে দিয়েছে তারা বাম-কংগ্রেসের জোটে নেই। তারা ১ ও ১৯ নম্বরে একাই লড়বে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement