সিনেমা হলের ব্যবসাও পড়ছে। ভাঙা হলের টিকিটের দাম লেখা বোর্ডটুকুই স্মৃতি। বহরমপুরে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
আনলক ৫ পর্বে শেষতক খুলে যাচ্ছে সিনেমা হলের দরজা। অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে এবং দর্শকদের ফেসকভার বাধ্যতামূলক করে আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে রাজ্যে হলগুলি খোলার কথা। তবে এ ব্যাপারে হল মালিকদের তরফে কিছু জানানো হয়নি এখনও।
জেলা জুড়ে একের পর এক সিনেমা হল বন্ধের মাঝেই নতুন করে হল খোলার সরকারি ছাড়পত্র হল মালিক এবং দর্শক, দু’পক্ষের কাছেই খুশির খবর বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে, প্রোমোটারি ব্যবসা এবং মার্কেট কমপ্লেক্স গড়ে তোলার লাভজনক হাতছানির কাছে হার মেনে বহরমপুর এবং জেলার অন্য শহরে ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু সিনেমা হল। বহরমপুরও তার ব্যতিক্রম নয়। ইতিমধ্যেই ‘মীরা’, ‘কল্পনা’, ‘সূর্য’, ‘মোহন’— সিঙ্গল স্ক্রিন বেশ কিছু হল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার জায়গায় কোথাও উঠেছে বহুতল কোথাও মালটিপ্লেক্স। হল কবে খুলবেন মালিকপক্ষ তার স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত না দিলেও শহরের ফিল্ম সোসাইটির নিজস্ব প্রেক্ষাগৃহ ঋত্বিক সদন খোলার সম্বাবনা তৈরি হয়েছে। সোসাইটির পক্ষে সমীরণ বিশ্বাস বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারের কোনও নির্দেশ এখনও পাইনি। তবে, পুজোর আগে তা খোলার চেষ্টা করা হবে।” এই হলে লকডাউনের আগে ৩৫০ জনের একসঙ্গে বসার ব্যবস্থা ছিল। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী অবশ্য অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখতে হবে।
জিয়াগঞ্জের মানুষের কাছে এ ব্যাপারে ভরসা জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার ‘মহাবীর জৈন মিউনিসিপ্যাল কালচারাল হল।’ এটি ওই হলের পরিচালন সমিতির পক্ষে জানানো হয়, ‘‘লকডাউনের ফলে দীর্ঘদিন হল বন্ধ থাকায় হলের কিছু সংস্কার করতে হবে। পাশাপাশি কোনও নতুন সিনেমাও রিলিজ হয়নি। দেখা যাক কত দূর কী করা যায়।’’ ধুলিয়ানে টিঁকে আছে একটি হল। তবে সেটি কবে খুলছে তার কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি। ইসলামপুরের ‘রূপালী’ হলের পক্ষে জানানো হয়, পুজোর আগে সেই প্রেক্ষাগৃহ খোলার সম্ভাবনা নেই।
তবে সংস্কার শুরু হয়েছে জেলার একমাত্র মাল্টিপ্লেক্সে। লকডাউনের আগে এই আধুনিক সিনেমা হলেই জেলাবাসী পেয়েছিল প্রথম থ্রিডি সিনেমা। তবে সিনেমা হলের কর্ণধার শর্মিষ্ঠা রায় বলেন, “সমস্ত বিধি মেনে পুজোর আগে জেলার মানুষকে সিনেমা দেখাতে পারব।”