বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী ফাইল চিত্র।
বহরমপুর শহরে এক কলেজ ছাত্রী খুনের ঘটনায় উত্তাল জেলা রাজনীতি। শহরের নিরাপত্তার প্রশ্নে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এই বিতর্কে ঘি ঢেলেছে রবিবার রাতে সৈদাবাদ এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ।
দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, “খুন ধর্ষণ রাজ্যে এখন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা থাকলে এই ধরনের ঘটনা বহরমপুরে ঘটতো না। এই ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড এই বহরমপুরে শহরে ঘটেছে কি না কেউ বলতে পারবে?” সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, “রাজ্য জুড়ে যে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দায় পুলিশ ও তৃণমূলের। বহরমপুর শহরে আজ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে যা বাম আমলে ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী অপরাধীদের পক্ষে থাকছেন ফলে তারা নিশ্চিন্তে বুক ফুলিয়ে ঘুরতে পারছে।” বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন, “এই ধরনের নৃশংসা হত্যা আজ পর্যন্ত বহরমপুরে ঘটেনি। রাজ্যের নির্দশন শহরেও দেখা গেল। বিধানসভা নির্বাচনের পর বহরমপুরের অলিতে গলিতে জমি মাফিয়ারা ঘুরে বেড়াচ্ছে অস্ত্র হাতে। প্রশাসন দেখেও দেখছে না।”
রবিবার রাতে সৈদাবাদ এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে বহরমপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস কাউন্সিলর হিরু হালদার এই ঘটনার জন্য শাসক দলের দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘শান্ত শহরকে অশান্ত করছে শাসক দল। আর তাতে মদত যোগাচ্ছে পুলিশ। আমরা এই অবস্থার বদল চাইছি। না হলে আমরণ অনশন চলবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বহরমপুরে মেয়েরা আজ নিরাপত্তা হারিয়েছে। সব সময় আতঙ্কে থাকে।’’
বহরমপুরের অন্য এক বাসিন্দা সুচেতনা বসাক বলেন “সবার সামনেই একটি মেয়েকে বেপরোয়া ভাবে খুন করে চলে গেল এক যুবক। তাহলে বিশেষ মহিলা পুলিশ বাহিনীর এলাকা ঘুরে লাভ কি হল।” পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান আবু তাহের খান বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই খুন হয়েছে। উন্নত আইনশৃঙ্খলার দরুণ পুলিশ আততায়ীকে গ্রেফতার করেছে। তার কঠোর শাস্তিও হবে। বিরোধীরা অকারণে এই ঘটনায় রাজনীতির রং লাগাচ্ছেন।’’
তবে শহরের বাসিন্দাদের বক্তব্য, বহরমপুর ঘিরে আরও সিসিটিভির দরকার রয়েছে। রোজ বহু লোক নানা জায়গা থেকে শহরে আসেন, তাই নিরাপত্তার কথা ভাবতেই হবে।