Vaccines

লকডাউনে ছাড়, ফের শুরু প্রসূতি-টিকা

জেলার নির্দিষ্ট করে দেওয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁদের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে সোমবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০ ০২:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা আতঙ্কে বন্ধ শিশুদের টিকাকরণ। তবে, মাস দেড়েক বন্ধ থাকার পরে প্রসূতি মায়েদের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হল।

Advertisement

জেলার নির্দিষ্ট করে দেওয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁদের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে সোমবার। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে লকডাউন শুরুর সময় থেকে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের টিকাকরণ কর্মসূচি বন্ধ রেখেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ফলে শিশু ও গর্ভবতী মহিলারা সমস্যায় পড়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত গর্ভবতী মহিলাদের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হলেও শিশুদের টিকাকরণ কবে শুরু হবে, তা এখনও জানাতে পারেনি জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

সূত্রের খবর, বহরমপুর ব্লকের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাতিনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র গর্ভবতী মহিলাদের টিকাকরণের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। বহরমপুরের এসিএমওএইচ রাজীব স্যানাল বলেন, ‘‘আপাতত গর্ভবতী মহিলাদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে গর্ভবতী মায়েদের টিকারণ করা হচ্ছে। শিশুদের টিকাকরণের বিষয়ে এখনও কোনও নির্দেশিকা আসেনি।’’

Advertisement

বুধবার ডোমকলের এসিএমওএইচ মামুন রশিদ বলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে গর্ভবতী মহিলাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। করোনা রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গর্ভবতী মায়েদের টিকাকরণ হচ্ছে। শিশুদের টিকাকরণের বিষয়ে এখনও কোনও নির্দেশিকা আসেনি।’’

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে শিশুদের একাধিক টিকা দেওয়া হয়। শিশুর জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওপিভি (ওরাল পোলিও ভ্যাকসিন), বিসিজি, ও হেপাটাইটিস-বি টিকা দেওয়া হয়। এখনও শিশুর জন্মের পরে এই তিনটি টিকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ৬ সপ্তাহ থেকে ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের একাধিক টিকা স্থানীয় উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেওয়া হয়। লকডাউনের সময় থেকে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ওই সব টিকা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি পাড়ায় পাড়ায় গিয়েও গর্ভবতী মহিলাদের টিটেনাস ও ডিপথেরিয়ার টিকা দেওয়া হয়। সেই টিকা দেওয়াও একই সময়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যার জেরে গর্ভবতী মহিলা ও শিশুরা সমস্যায় পড়েছিলেন। এ ভাবে টিকা না দিলে শিশু কিংবা গর্ভবতী মহিলা রোগ থেকে অরক্ষিত থাকতে পারেন ভেবে অনেকে আতঙ্কেও রয়েছেন। আবার যাঁদের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে তাঁরা বেসরকারি জায়গা থেকে গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের টিকাকরণ করাচ্ছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement