রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের কর্মী ইস্রাফিল সাহাজির রহস্যমৃত্যু। — নিজস্ব চিত্র।
বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে হাঁটতে বেরিয়ে আর ফেরেননি বাড়ি। রাত ৯টা থেকে বার বার ফোন বেজে গেলেও, ফোন ধরেননি কেউ। রাত ১২টা নাগাদ ওই ফোনেই নিজেকে জিআরপির পুলিশকর্মী পরিচয় দিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় ফোনের মালিকের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্য পুলিশের কর্মী ইস্রাফিল সাহাজির পরিবার। অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত দাবি পরিবারের। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে রেলপুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নদিয়ার চাকদহ থানার মদনপুর জঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা ৩০ বছরের ইস্রাফিল রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ বাড়ি থেকে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু রাত ৯টা নাগাদও ইস্রাফিল বাড়ি না ফেরায় উদ্বেগে পড়ে পরিবার। বার বার ফোন বেজে গেলেও উত্তর মেলেনি। মাঝরাতে ফোন তোলা হয়। নিজেকে জিআরপি কর্মী পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ইস্রাফিলের। রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে ক্ষতবিক্ষত দেহ।
পুলিশকর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার। মৃত পুলিশকর্মীর স্ত্রী করিশ্মা সাহাজি বলেন, ‘‘প্রতি দিন হাঁটতে বেরিয়ে ক্লাবে ক্যারাম খেলে ৯টার দিকে বাড়ি আসে ইস্রাফিল। ১০টা বেজে গেলেও বাড়ি না ফেরায় বার বার ফোন করতে থাকি। কিন্তু ফোন বেজে যায়, কেউ ধরে না। ১২টার দিকে ফোন তুলে এক জন বলেন, রেললাইনে দেহ পাওয়া গেছে। বাড়িতে কোনও অশান্তি হয়নি। আমি বিশ্বাস করি না স্বামী আত্মহত্যা করেছে।’’
শিয়ালদহের এসআরপি জে মার্সি বলেন, ‘‘গত কাল (বুধবার) রাতে এক ব্যক্তির দেহ রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে রেলপুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা বলা সম্ভব ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর।’’