প্রতীকী ছবি।
এক জন দলের টিকিট পেয়েছেন, অন্য জন টিকিট পাননি। দু’জনই আলাদা ভাবে দলবল নিয়ে ওয়ার্ডে ঘুরলেন। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।
ওই ওয়ার্ডের টিকিট পেতেই তৃণমূল প্রার্থী নির্মল দত্ত রবিবার দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরেছেন, মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। আবার শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর পরিমল সরকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দাবিদার ছিলেন। তিনি টিকিট পাননি। এ দিন তিনি অনুগামী নেতাকর্মীদের নিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন, কথা বলেন মানুষের সঙ্গে। এখনও ঘোষণা না করলেও তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করতে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চাও শুরু হয়েছে।
এ দিন পরিমল সরকার বলেন, ‘‘আমি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টিকিট চেয়ে দলের কছে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু দল টিকিট দেয়নি। তাই এ দিন ওয়ার্ডের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে তাঁদের মতামত নিতে ৮ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরেছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ওয়ার্ডের অধিকাংশ মানুষ আমাকে নির্দল হিসেবে দাঁড়ানোর কথা বলছেন। তবে আমিও এখনও দলের প্রতি আস্থা রেখেছি। দল কী করবে তা দেখার পরে মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নেব। সোমবার আমার সে সিদ্ধান্তের কথা জানাব।’’
তবে তৃণমূলের টিকিট পাওয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নির্মল দত্ত বলেন, ‘‘দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। দায়িত্ব পেয়েই প্রচারে নেমেছি। প্রচুর সাড়া পাচ্ছি।’’ পরিমল সরকারের টিকিট না পাওয়া নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
তৃণমূলের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর পরিমল সরকারকে টিকিট না দেওয়ায় শনিবার বিকেলে জিয়াগঞ্জের সদর ঘাটে দলের একাংশ বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা বিকেলে সদর ঘাটের সামনে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পরে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়।
সূত্রের খবর, জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষণের গেরোয় পড়েছে। ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর তৃণমূলের পরিমল সরকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টিকিটের দাবিদার ছিলেন। সে জন্য পরিমল ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টিকিট চেয়ে দলের কাছে বায়োডেটা জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতে দেখা যায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দলের টিকিট পেয়েছেন নির্মল দত্ত। যার জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর অনুগামীরা। পরিমল সরকার বলেন, ‘‘শনিবার আমি নই, সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।’’
জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভার প্রশাসক তৃণমূলের প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘দল বড় হয়েছে। দলের টিকিটের দাবি অনেকেরই থাকতে পারে। তবে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তা সকলকে মেনে চলতে হবে। আর প্রার্থী তালিকা রাজ্য নেতৃত্ব করেছে।’’