শুভ্রদীপ পাল। নিজস্ব চিত্র
জয়েন্টে জোড়া সাফল্যে এ বার উজ্জ্বল নদিয়া।
হস্পতিবার রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। দেখা যায় জেলার কল্যাণীর ইউনিভার্সিটি এক্সপেরিমেন্টাল হাই স্কুলের ছাত্র শুভ্রদীপ পাল রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। আর রাজ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে কৃষ্ণনগরের হোলি ফ্যামিলি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র বিবস্বন বিশ্বাস।
শুভ্রদীপের পরিবার সূত্রে জানা গেল, সে কল্যাণী ইউনিভার্সিটি এক্সপেরিমেন্টাল হাই স্কুল থেকে ৪৬১ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়। বাবা নিশীথ পাল জানালেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক প্রস্তুতির পাশাপাশি তিন বছর ধরে জয়েন্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ছেলে। ছেলের এই সাফল্যের পিছনে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও যথেষ্ট সাহায্য করেছেন।
নিজের সাফল্যের রহস্য নিয়ে শুভ্রদীপ জানায়, কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে। দিনে প্রায় ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত পড়েছে। ২০২২ সালে রাজ্যের সব বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের মিলিত পরীক্ষায় জগদীশ বসু জাতীয় বিজ্ঞান মেধা তালিকায় সর্বোচ্চ স্থান পেয়েছিল সে। তবে পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন টেলিভিশন শো দেখতেও পছন্দ করে শুভ্রদীপ। পছন্দ করে ক্রিকেট। তাঁর কথায়, ‘‘ক্রিকেট খুব পছন্দ করলেও করোনা কালের পরে এবং পড়ার চাপে খেলার সময় পায়নি। তবে অবসর পেলেই বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ করে মোবাইল গেম খেলে।’’ পরবর্তীতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য ভাল কলেজের খোঁজ শুরু করেছে শুভ্রদীপ।
ছেলের সাফল্যে গর্বিত মা শিপ্রা পাল বলেন, ‘‘ভাল রেজাল্ট আশা করেছিলাম। তবে এতটা ভাল হবে ভাবিনি। খুব ভাল লাগছে।"
ছোট্ট বেলা থেকেই আকাশ দেখতে ভাল লাগে কৃষ্ণনগরের কাঁঠালপোতা এলাকার বাসিন্দা বিবস্বনের। রাতের আকাশের তারা চেনার আগ্রহ ছোট থেকেই। সূর্যকে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই তাঁর, আর হবে নাই বা কেন! বিবস্বনের মানেও যে সূর্য। কথাটা বলতেই বিবস্বন বলেন,“আমি মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করতে চাই। সূর্যকে আরও ভাল করে বুঝতে চাই।”
বাবা বিশ্বনাথ বিশ্বাস ও মা নমিতা মল্লিক দু’জনেই স্কুলশিক্ষক। প্রথম থেকেই বিবস্বনের প্রিয় বিষয় অঙ্ক, রসায়ন ও পদার্থবিদ্যা। এবছর আইএসই পরীক্ষায় পেয়েছে ৯৮.৫ শতাংশ নম্বর। লক্ষ্য বিজ্ঞানী হওয়ার। বিশেষ করে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার আগ্রহ তাঁর। পাশাপাশি কম্পিউটারও খুব করে রপ্ত করতে চায় বিবস্বন। কারণ তাঁর কথায়, ‘‘মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করতে গেলে কম্পিটারটা খবু ভাল করে জানতে হবে। কারণ এখন তো কম্পিউটারেই সব হয়।”