মৃত শুক্লা সরকার। নিজস্ব চিত্র
ঝড়ে গাছ পড়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় নদিয়ার দু’ জায়গায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১ জন। গাংনাপুর থানার আইশমালি এবং দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকটি ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে। গাছ ভেঙে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় আঁইশমালি গ্রাম পঞ্চায়েতের এরুলি হটাৎপাড়া এলাকায় মারা যান শুক্লা সরকার(২৫) নামে এক মহিলা। তিনি এরুলি বাজারে একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টে কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাগদা থানার রিমিঝিমি এলাকায়। গ্রাহকদের থেকে ঋণের টাকা সংগ্রহ করে তিনি বাড়ি যাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেই সময় আচমকা ঝড়ে একটি গাছের ডাল তাঁর উপর ভেঙে পড়ে। তাঁর সঙ্গে মৌসুমি খান নামে আরও এক মহিলা ছিলেন। তিনি আহত হয়েছেন। শুক্লার স্বামী মঙ্গল সরকার এক জন নির্মানকর্মী। তিনি পুনেতে থাকেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি বাড়ি ফিরছেন।
শুক্রবার ঝড়ের সময়েই হরিণঘাটার কাষ্ঠডাঙা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের খোলসির মাকালগাছি এলাকায় ঝড়ে গাছ মাথায় ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে হরিপদ মণ্ডল (৫৮) নামে এক ব্যক্তির। তিনি পেশায় ছিলেন চাষি। শুক্রবার বিকালে মাঠে কাজ করছিলেন। ঝড় ওঠায় হরিপদকে সঙ্গীরা একটু দাঁড়িয়ে যেতে বলেন। কিন্তু তিনি সাইকেলের পিছনে কুমড়ো ও কুমড়োর শাক নিয়ে ঝড়ের মধ্যেই বাড়ির দিকে রওনা দেন। সেই সময় মাঠের আলের পাশে একটি লম্বু গাছের ডাল ভেঙে তাঁর মাথায় পড়ে। তাঁর কানের পর্দা ফেটে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজে (জেএনএম) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের আঁইশমালি এবং দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের একটা অংশের উপর দিয়ে প্রবল ঝড় বয়ে যায়। তাতে বালিয়াডাঙা, মণ্ডলপুকুরিয়া, দড়াকাটা, মণ্ডলপুকুর-সহ কয়েকটি গ্রামে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শনিবার দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সুবীর ধর ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেছেন।