—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সারের বস্তার মধ্যে পাচার করছিলেন গাঁজা। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে ১০ কেজি গাঁজা-সহ এমনই দুই ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরল পুলিশ। মঙ্গলবার মাদক পাচারের অভিযোগে ধৃতদের তোলা হয় আদালতে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের নাম আব্দুল শেখ এবং সঞ্জিত দাস। দু’জনের বাড়িই ডোমকলের কুপিলা দাসপাড়া এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার মধ্যরাতে ডোমকলের কাটাকোপড়া কুঠি এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। সেই সময় সন্দেহভাজন দু’জনকে আটক করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তল্লাশি চালানো হয় দুটি ঘরে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় একটি সারের বস্তা। তার ভিতরে মেলে ১০ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা। পাচারের কৌশলও ছিল অভিনব। ধান, পাট, সব্জির মতো ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সারের একটি বস্তা পাওয়া যায়। নতুন সারের বস্তার যেমন ভাবে মুখ বন্ধ থাকে, ঠিক সে ভাবে ওই বস্তাটির মুখও বন্ধ ছিল। বোঝার উপায় নেই যে, বস্তার ভিতরে রয়েছে নিষিদ্ধ মাদক। পুলিশের চোখ এড়িয়ে এ ভাবেই গাঁজা পাচারের ছক ছিল পাচারকারীদের।
গাঁজা উদ্ধারের পর দু’জনকে আটক করে পুলিশ। প্রথমে তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কোথা থেকে ওই মাদক পেয়েছেন এবং কোথায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। অভিযোগ, একাধিক বার অভিযুক্তরা বয়ান বদল করেন। তাঁদের বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই মাদক পাচারের পিছনে বড় কোনও চক্র আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ওই ঘটনা নিয়ে ডোমকল মহকুমার পুলিশ আধিকারিক শেখ সামসুদ্দিন বলেন, ‘‘মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’