পর্যটকদের ভিড় হাজারদুয়ারি চত্বরে। নিজস্ব চিত্র ।
মাস ক'য়েক আগেও হোটেল খুলে পর্যটকের আশায় বসে থাকতেন হাজারদুয়ারির সামনের একটি নামকরা হোটেল মালিক পরিতোষ দাস। কিন্তু পর্যটক মিলত না। তবে, বদলেছে সেই চিত্র। বুধবার সকাল থেকেই ফোনে ব্যস্ত পরিতোষবাবু। কান থেকে ফোন নামিয়ে তিনি বলছেন, ‘‘একের পর এক ফোন আসছে বুকিংয়ের জন্য। রাত পোহালেই তো বড়দিন এবার ভিড় ভাঙবে শহরে।’’
পর্যটনের শহর লালবাগে পর্যটকের ভিড় ভাঙবে বড়দিনে আর সেই আশাতেই সাজো সাজো রব গোটা শহর জুড়ে। এরই মধ্যে বুধবার শহরের পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সকলকে নিয়ে ঘন্টা দু'য়েক ধরে আলোচনাও সেরে বেশ কিছু সিদ্ধান্তও নিয়েছে লালবাগ মহকুমা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, পর্যটকদের জন্য গাড়ি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে, সেমিনার হলের মাঠ, পাহাড়বাগান, এসডিপিও অফিসের সামনে, নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউটের মাঠে। এ ছাড়াও একাধিক পার্কিং ব্যবস্থা থাকবে। পার্কিং স্পটে পানীয় জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা থাকবে। হোটেলগুলোকে রাখতে হবে থার্মাল গান ও পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজ়ার। প্রতিটি হোটেলের নীচে একটি করে আলাদা ঘর রাখতে হবে। যাতে কোনও পর্যটকের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয় তাহলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে যেন আলাদা করে রাখা যায়। প্রতিটি হোটেল সিসি ক্যামেরা রাখতে হবে এবং যারা থাকবে তাদের যেন বৈধ পরিচয়পত্র দেখে তবেই থাকতে দেওয়া হয়। যারা পার্কিং স্পট করবেন তাদের সিসি ক্যামেরা রাখতে হবে এবং পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা সকলের সচিত্র পরিচয় পত্র থাকতে হবে।
হাজারদুয়ারির পাশে ত্রিপোলিয়া গেটে কাছে একটি পুলিশ ক্যাম্প থাকবে ও হাজারদুয়ারির পেছনে পর্যটক সহায়তা কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন থাকবে এ ছাড়াও ভিড়ের মধ্যে সাদা পোশাকের পুলিশ নজরদারি চালাবে। এছাড়াও মাস্ক সকলের জন্য বাধ্যতামূলক। এদিন লালবাগের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিক্রম প্রসাদ বলেন, ‘‘পুলিশ সবসময় ততপর রয়েছে। কোনও অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’মুর্শিদাবাদ টাঙ্গা ইউনিয়নের সম্পাদক মনু শেখ বলেন, ‘‘বড় দিনে শহরে পর্যটকের ভিড় ভাঙবে বলেই আশা করছি আমরা তৈরি রয়েছি।’’ এদিন মুর্শিদাবাদ সিটি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘গত বছর ঝামেলার কারণে শহরে পর্যটক আসেনি বললেই চলে কিন্তু এই বছর বড় দিনে পর্যটকের ভিড় ভাঙবে শহরে আমরা সকলেই তৈরি রয়েছি।’’