প্রতীকী ছবি।
ডাইনি অপবাদ দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় কয়েক জনকে মানুষের মল ও মূত্র খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকে। নিগৃহীত গ্রামবাসীদের এক জনের ঝুলন্ত দেহ বৃহস্পতিবার ভোরে উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, অপমানের জেরেই বুধবার গভীর রাতে গলার ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মানিক সর্দার নামে ওই প্রৌঢ়। ঘটনার জেরে জরুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাপুর আদিবাসী পাড়ায় বৃহস্পতিবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায়।পুলিশ সূত্রের খবর, আদিবাসী পাড়ার এক মহিলার মৃত্যুর জেরে ওঝা ডাকা হয়েছিল। সেই ওঝা স্থানীয় কয়েক জনকে ডাইনি হিসেবে চিহ্নিত করে। সোমবার গ্রামের মোড়লের নিদানে ডাইনিবিদ্যা চর্চার অপবাদ দিয়ে প্রকাশ্যে মানুষের বিষ্ঠা খাওয়ানো হয় ওই চিহ্নিত গ্রামবাসীদের। কয়েক জন মহিলাও নির্যাতনের শিকার হন। নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়ো। ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামে যান স্থানীয় প্রশাসন-পুলিশের কর্তারা। তাঁরা কথা বলেন ওই আদিবাসী পরিবারগুলোর সঙ্গে। অভিযোগ পেয়ে মোড়লকে আটক করে পুলিশ। রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের বিডিও আবু তৈয়ব জানান, এই এলাকার মানুষের একাংশের মধ্যে কিছু কুসংস্কার রয়েছে। তারই জেরে ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা মানুষকে বোঝাচ্ছি, ডাইনি প্রথা আর নেই। আগামী দিনে গ্রামবাসীদের সচেতন করতে বিশেষ সচেতনতা শিবির করা হবে।’’ বৃহস্পতিবার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে গ্রামে পৌঁছয় আদিবাসী কমিশনের তিন জন সদস্যের। তারই মধ্যে নির্যাতিত প্রৌঢ়ের আত্মহত্যার জেরে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।