‘নির্মল রাখির উপহার, বোনের জন্য শৌচাগার।’
এই থিমে এ বারে রাখিবন্ধন উৎসব পালন করছে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। আজ, রবিবার দিনভর ব্লকে ব্লকে রাখিবন্ধন উৎসবের মধ্যে দিয়ে শৌচাগার ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হবে। যে উৎসবের নামও দেওয়া হয়েছে— ‘নির্মল রাখি উৎসব’।
ব্যক্তিগত উদ্যোগে যাঁরা শৌচাগার তৈরি করেছেন, তাঁদের নির্মল রাখি উৎসবের অনুষ্ঠানে সম্মান জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক পি উলাগানাথন বলেন, “খুব শীঘ্র রাজ্য সরকার মুর্শিদাবাদকে নির্মল ঘোষণা করবে। বাসিন্দাদের শৌচাগার ব্যবহারে উৎসাহ দিতেই এমন সিদ্ধান্ত।’’ ব্যক্তিগত উদ্যোগে শৌচাগার তৈরি করেছেন ব্লক পিছু এমন ৫০০ জনকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। থাকবেন কন্যাশ্রী, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাও।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে প্রায় প্রতিদিন ভোরে উঠে প্রশাসনের কর্তারা মাঠে মাঠে হুইসল হাতে ছুটছেন। তাঁরা বাসিন্দাদের শৌচাগার তৈরি ও তা ব্যবহারে উৎসাহ দিচ্ছেন। ইদ্দুজ্জোহায় প্রশাসনের অনুরোধে ইদের নমাজের পরে ইমামেরা শৌচাগার ব্যবহারে সচেতনতার পাঠ দিয়েছেন। প্রশাসনের কাছ থেকে উৎসাহ পেয়ে কেউ ভিক্ষের টাকায়, কেউ কন্যাশ্রীর টাকায়, কেউ কানের দুল কিংবা গাছ বিক্রি করে শৌচাগার তৈরি করিয়েছেন। আর নির্মল রাখি উৎসবে তাঁদের সম্মান জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সম্প্রতি বড়ঞায় চায়ের দোকান ও সেলুনের মালিকেরা দোকানের সামনে ফ্লেক্স ঝুলিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, শৌচাগার না থাকলে চুল-দাড়ি কাটা যাবে না, মিলবে না চা-ও। ওই এলাকারই এক তরুণী তাঁর বিয়ের কার্ডে সচেতনতা বাড়াতে শৌচাগারের ছবি ছেপেছেন। তবে রাখিবন্ধনে বোনের জন্য শৌচাগারের আবেদন! নবাবের জেলা এর আগে দেখেছে কি?