প্রতীকী ছবি।
বিজেপি বিরোধীদের কথায়, রাজ্যে হিন্দিভাষায় যারা কথা বলেন তাদের একটি বড় অংশ বিজেপির ভোটার। তারা বিজেপিকে সমর্থন করেন। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেলডাঙা শহরে হিন্দিভাষীদের নিয়ে তৃণমূলের আলাদা করে সভা সেই বক্তব্যে জল ঢালল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মঙ্গলবার বেলডাঙা শহর তৃণমূলের উদ্যোগে শহরে যারা হিন্দি ভাষায় কথা বলেন তাদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের হিন্দি সেলের রাজ্য অধ্যক্ষ বিবেক গুপ্তা। ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন
জেলার সভাপতিরা।
এদিনের সভায় রাজ্যে নেতৃত্বের পক্ষে বিবেক গুপ্তা বেলডাঙা পুরসভার প্রশাসক ভরত ঝাওরকে মুর্শিদাবাদ জেলার দায়িত্ব দেন। তাকে সভাপতি হিসাবে সকলের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের হিন্দি সেলের রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষে বলা হচ্ছে, হিন্দিভাষীদের সঙ্গে পরিচয়, তাদের সমস্যা তাদের মুখ থেকে শোনা, সেই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করতেই এই আয়োজন। মঙ্গলবার বিকেলে বেলডাঙা মাড়োয়ারি ধর্মশালার সভা গৃহে এই সভার আয়োজন করা হয়। প্রায় ২৫০ জন হিন্দিভাষী এখানে উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিত বক্তারা তৃণমূলের পক্ষে এই হিন্দিভাষীদের খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয় বলে জানান। পরে উপস্থিত হিন্দিভাষীদের কাছ থেকে তাদের কথা শুনতে চান। অনেক পুরুষ ও মহিলা তাদের বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, মহাবীর জয়ন্তীর দিন রাজ্যে ছুটি ঘোষণা করতে হবে। যেন দেখে। হিন্দিভাষীদের জন্য আলাদা স্কুল খোলা যায় কি না সে কথা ওঠে। এছাড়া পরিবহণ ব্যবস্থায় নানা সমস্যার কথা বলা হয়। সামান্য ২০ কিলোমিটার পথ যেতে তিন ঘন্টাও লেগে যায় একটা লরি বা বাসের। যানজট মোবাবিলার জন্য সরকার যাতে সচেষ্ট হয় সেই কথাও এই সভা থেকে তোলা হয়।
এই কথায় জবাব দিতে গিয়ে রাজ্য অধ্যক্ষ বিবেক গুপ্তা বলেন, “আমি সমস্যার কথা শুনলাম। তাদের মধ্যে অনেক সমস্যা একটু চেষ্টা করলেই মিটে যাবে। বাকিটা আমি রাজ্য স্তরে গিয়ে আমাদের দিদি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে মেটানোর চেষ্টা করবো।” মঙ্গলবার নিযুক্ত হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি ভরত ঝাওর বলেন, “হিন্দিভাষীরা আমাদের দলের নিজের সম্পদ। তাদের সমস্যার কথা শুনতে ও সেই সমস্যা মেটাতে এই সভার আয়োজন। এখানে আমাদের রাজ্য নেতৃত্ব তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।”