TMCP

বন্‌ধের ডাক শোনার পরেই কলকাতামুখী টিএমসিপি

বুধবারই বাংলা বন্‌ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। বন্‌ধের মাঝে মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা সকলে কলকাতায় পৌঁছতে পারবেন তো, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৪ ০৭:৫০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

আজ, বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা দেওয়ার কথা। আর বুধবারই বাংলা বন্‌ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। বন্‌ধের মাঝে মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা সকলে কলকাতায় পৌঁছতে পারবেন তো, সেই প্রশ্ন উঠেছে। একই সঙ্গে কোথাও বন্‌ধ সমর্থকদের সঙ্গে কলকাতাগামী তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীদের কোনও গন্ডগোল হবে না তো, সেই প্রশ্ন উঠেছে। মঙ্গলবার থেকেই অনেকে কলকাতা রওনা হয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। সে দিন কলকাতায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেবেন। মঙ্গলবার থেকে মুর্শিদাবাদের ছাত্রছাত্রীরা কলকাতা যাওয়া শুরু করেছেন। মঙ্গলবার রাতে এবং বুধবার সকালে অনেকে ট্রেনে বাসে করে যাবেন। এই বন্‌ধের মধ্য দিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীদের হেনস্থা করা হতে পারে, মারধর করা হতে পারে। ছাত্র-ছাত্রীদের বলব কাল সকাল থেকে যাঁরা যাবেন কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে আমাদের জানাবেন। আমরা সবাই যাব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ শুনতে।’’ অপূর্ব বন্‌ধ প্রত্যাখ্যানের আবেদন করেছেন জেলাবাসীর কাছে। অপূর্ব বলেন, ‘‘এই বন্‌ধ সর্বনাশা। মানুষের ক্ষতি করবে এই বন্‌ধ। তাই ব্যবসা থেকে শুরু করে দোকান বাজার, স্কুল কলেজ অফিস আদালত, পরিবহণ ব্যবস্থা যেন স্বাভাবিক থাকে সেই আবেদন জানাচ্ছি সকলের কাছে। বিজেপির ডাকা বন্‌ধ ব্যর্থ করুন।’’

যা শুনে বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘যাঁরা বন্‌ধ ব্যর্থ করার কথা বলছেন তাঁদের ঘরেও মা বোন আছেন। আমরা বিজেপির জন্য এই বন্‌ধ ডাকিনি। এই বন্‌ধ বাংলার মা বোনদের জন্য। বুধবার এই বন্‌ধ সফল হবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপি কাউকে মারধর হেনস্থা করে না। সেটা বাংলার মানুষ জানেন।’’

Advertisement

ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানে ছাত্রদের উপর পুলিশের নির্মম অত্যাচারের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধ ডেকেছে বিজেপি। মঙ্গলবার কান্দিতে অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘ছাত্র সমাজের নাম করে নবান্ন অভিযান করা হয়েছে। সেখানে কারওর মৃত্যু হোক সেটা চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেটা হয়নি তাই একটি মৃতদেহ পাওয়ার জন্য বিজেপি বন্‌ধ ডেকেছে।"

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে রাজ্য তথা দেশ জুড়ে আন্দোলন করছে রাজ্যেবাসী। ওই আন্দোলন ভিন্ দেশের মাটিতেও হচ্ছে। আন্দোলনের মধ্যে ছাত্র সমাজের ডাকে এ দিন নবান্ন অভিযান হয়। সেখানে ছাত্র সমাজের উপর পুলিশ যে ভাবে দিন ভর কাঁদানে গ্যাস থেকে জল কামান, লাটি দিয়ে ছাত্র সমাজ কে আঘাত করেছে, তার প্রতিবাদে বিজেপি বাংলা বন্‌ধ ডেকেছে।

এই বন্‌ধ ডাকার পিছনে বিজেপির আরও একটি পরিকল্পনা আছে বলে দাবি তৃণমূলের। ২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। কলকাতায় ওই দিনটি ঘটা করে পালন করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমাবেশ করেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ বানচাল করা বিজেপির পরিকল্পনা বলেও দাবি অপূর্বের। অপূর্ব বলেন, ‘‘সব সচল রাখুন। কোথাও সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান আমরা আপনাদেরকে সাহায্য করব।’’

তবে রাজ্য বিজেপির ডাকা বাংলা বন্‌ধ জেলার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পালন করবে বলে দাবি করেন শাখারভ। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল বন্‌ধের বিরোধিতা করলে মানুষ তার প্রতিরোধ করবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement