ফাইল চিত্র।
নদিয়ার হরিণঘাটায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অব সায়েন্টিফিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইসার) ক্যাম্পাসে তরুণ গবেষক শুভদীপ রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় ছ’দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্যের কিনারা হল না এখনও। যে রিসার্চ গাইডের বিরুদ্ধে শুভদীপের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে কেন এখনও গ্রেফতার করা হল না, এই প্রশ্ন তুলে ক্যাম্পাসের বাইরে মিছিল করে অবস্থান বিক্ষোভ করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তদন্তে এখনও পর্যন্ত কী কী বিষয় উঠে এসেছে, তা প্রকাশ্যে আনার দাবিও জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। অন্য দিকে, এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই।
সোমবার আইসার-এর ল্যাব থেকে উদ্ধার হয়েছে শুভদীপের দেহ। পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। তাতে লেখা ছিল, রিসার্চ গাইডের সহযোগিতা না পেয়েই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন শুভদীপ। বন্ধুবান্ধবদের দাবি, রবিবার অনেক রাত পর্যন্ত ল্যাবে ছিলেন তিনি। এর পর সোমবার বেলা ১১টাতেও ল্যাবের দরজা না খোলায় ধাক্কাধাক্কি করে ঢুকে দেখা যায়, মুখে প্লাস্টিক জড়ানো অবস্থায় শুভদীপ পড়ে রয়েছেন। সহপাঠীদের অনুমান, হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস তৈরি করে তা প্লাস্টিক প্যাকেটে ভরে তিনি শ্বাস নিয়েছেন। সহপাঠীদের প্রশ্ন, গাইডের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হল না? হাইড্রোজেন সালফাইড ল্যাবে তৈরি করা হয়েছিল কি না, তা জানতে কেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের ডাকা হল না? এই প্রশ্ন তুলেই বিগত কয়েক দিন ধরেই ক্যাম্পাস চত্বরে বিক্ষোভ করছেন পড়ুয়ারা।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বক্তব্য, আইসার কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত। এই প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে কোনও ছাত্র আত্মহত্যা করলে তাঁর দায় কেন্দ্রকেই নিতে হবে। তাঁদের দাবি, ছ’দিন কেটে গেলেও এখনও রহস্যের কিনারা হয়নি। প্রয়োজনে সিবিআই দিয়ে তদন্ত হোক। কিন্তু সঠিক তদন্তই হোক এবং যা যা উঠে আসছে, তা প্রকাশ্যে আনা হোক। সংগঠনের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে ক্যাম্পাসে।