গ্রেফতারের পরে গাড়িতে তোলা হচ্ছে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। নিজস্ব চিত্র
জিজ্ঞাসাবাদের সময় এক ছুটে ছাদে উঠে শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পিছনের পুকুরে নিজের দু’টি মোবাইল ছুড়ে দেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সেই মোবাইল উদ্ধার করতে পুকুরের জল ছেঁচা শুরু হয়। তাতে তৃণমূলের স্থানীয় সাবলদহ অঞ্চল সভাপতি সাধন প্রামাণিকই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনিই এলাকার কয়েক জন দিনমজুরকে পুকুরে নামতে বলেন। রবিবার জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতােরর পরে সাধনের বক্তব্য, ‘‘দলের বিরুদ্ধে কোনও কাজ করিনি। বিধায়কের সঙ্গে শত্রুতা বা মিত্রতা কিছুই নেই। সিবিআই সাহায্য করতে বলেছিল, তাই করেছি। আমি না করলে অন্য কেউ করতেন।’’
তবে পরে সাধনই বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগে বিধায়কের গ্রেফতারের ঘটনায় পঞ্চায়েতে কিছুটা তো প্রভাব পড়বেই।’’ সেই সঙ্গেই যোগ করেন, ‘‘আমাদের বিধায়ক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কি না আমরা তো বটেই, বিধায়কের স্ত্রীও জানেন না।” যদিও বিরোধীদের দাবি জীবনকৃষ্ণ শুধু শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত শুধু নয়, সিবিআই ঠিক মতো তদন্ত করলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আছে সেটা প্রমাণিত হবে। যদিও বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান আবু তাহের খান বলেন, “সিবিআই বিধায়ককে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে তাদের দফতরে। যদি আমাদের বিধায়ক কোনও অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত থাকেন, এবং সেটা প্রমাণিত হলে সাজা হলে হবে। কিন্তু এখানে কোনও নোংরা রাজনীতি হলে আমরা ছেড়ে দেব না।”
এখনও কি দলীয় ভাবে জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? আবু তাহের বলেন, “দলের প্রদেশ নেতৃত্ব সেটা সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের যেমনটা নির্দেশ দেবেন আমরা সেটা মেনেই চলব। আর দলের পক্ষ থেকে আমরা জীবনকৃষ্ণের পরিবারের পাশে থাকব।”