ধুলিয়ানের আরবান কো অপারেটিভ ক্রেডিট সমিতির নির্বাচনে নয়টি আসনই পেল তৃণমূল।
রবিবারের এই নির্বাচন নিয়ে গত দু’সপ্তাহ ধরেই উত্তেজনা ছিল ধুলিয়ানে। কিন্তু ভোটের শুরুতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুটের অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় সিপিএম।
১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সমবায় সমিতিটি একটি ব্যাঙ্ক চালায়। বরাবরই সেটি সিপিএমেরই দখলে ছিল। ৬৮৯ জন সদস্য রয়েছে সমিতির। নয়টি পদের জন্য তৃণমূল ও সিপিএমের ১৮ জন ছাড়াও একজন নির্দল প্রার্থী ছিলেন এ বারে।
২০১২ সাল পর্যন্ত সাধারণ সভা ডেকে হাত তুলে ভোট হয়েছে। নয়া সমবায় আইন অনুসারে এ বারই প্রথম ব্যালট পেপারে গোপন ভোট হল।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য তোয়াব আলি অভিযোগ, ধুলিয়ানে আরবান কো-অপারেটিভের নির্বাচনে ব্যাপক ছাপ্পা ভোট দিয়ে তাঁদের এজেন্ট, প্রার্থী ও ভোটারদের বুথ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূলের কর্মীরা।
সিপিএমের জোনাল সম্পাদক রোবজুল হোসেনের অভিযোগ, ‘‘সবটাই ঘটেছে পুলিশের সামনে। এই ভোটে গণতান্ত্রিক উপায়ে লড়তে না পেরেই এই পথ নিয়েছে তৃণমূল।’’
সমশেরগঞ্জের বিধায়ক তৃণমূলের আমিরুল ইসলাম অবশ্য বলছেন, “মানুষকে সঙ্গে না পেয়ে সিপিএম এখন প্রলাপ বকছে। ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ ভাবে। কাউকে মারধর করা হয়নি। তাদের লোকজন নাই দেখে তাদের প্রার্থীরাই বুথ ছেড়ে চলে যান।’’
সমশেরগঞ্জ থানার ওসি অমিত ভকতও অশান্তির অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “কড়া পুলিশ পাহারা ছিল বুথে। কোনও রকম মারধর বা অশান্তি ঘটেনি।’’ তাঁর দাবি, এ নিয়ে থানায় কোনও অভিযোগও দায়ের করা হয়নি।