TMC

পরীক্ষা চলছে, মাইক বাজাল তৃণমূল

বুধবার একই ভাবে মাইক বাজিয়ে নবদ্বীপ শহরে মিছিল ও বিক্ষোভ সভা করে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল এবিভিপি। পরের দিনই তার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২০ ০৩:১০
Share:

মাইক বাজিয়ে তৃণমূলের সভায় হাজির মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার নবদ্বীপে। নিজস্ব চিত্র

এবিভিপি-র পরে এ বার তৃণমূল। উচ্চ মাধ্যমিক চলাকালীন বিধি ভেঙে মাইক বাজিয়ে সভা করার অভিযোগ উঠেছে কৃষ্ণনগর ব্লক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস এবং নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

বুধবার একই ভাবে মাইক বাজিয়ে নবদ্বীপ শহরে মিছিল ও বিক্ষোভ সভা করে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল এবিভিপি। পরের দিনই তার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নবদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রের জোয়ানিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ওই সভা হয়। এ দিন থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তা সত্ত্বেও ভিতরে সাউন্ডবক্স এবং বাইরে মাইকের চোঙ লাগিয়ে এনআরসি বিরোধী সভা করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের বেশ কয়েক জন নেতানেত্রী— জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দীপক বসু, দলের কৃষ্ণনগর ১ ব্লকের সভাপতি কার্তিক ঘোষ, জেলা পরিষদের কৃষি ও স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মির তারান্নুম সুলতানা প্রমুখ মঞ্চে হাজির ছিলেন।

Advertisement

জোয়ানিয়া পঞ্চায়েত কৃষ্ণনগর ১ ব্লকের মধ্যে হলেও নবদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। এ দিন পঞ্চায়েত অফিসের সামনেই মঞ্চ বেঁধে সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫৯-৬০ বুথ থেকে নির্বাচিত শ্যাম সর্দার নামে এক বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য ওই সভায় তৃণমূলে যোগ দেন। শ্যামের সঙ্গেই কিছু বিজেপি কর্মী তাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে তৃণমূলের দাবি।

এই দলবদলের জেরে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে পালাবদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কেননা ১৬ আসনের ওই পঞ্চায়েতে বিজেপির ৯ জন এবং তৃণমূলের ৭ জন সদস্য ছিল। ফলে বোর্ড ছিল বিজেপির। এক বিজেপি সদস্য দলবদল করায় এখন দুই দলের সদস্য সংখ্যাই ৮ হয়ে গেল।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, দুপুর ১টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টে পর্যন্ত তারস্বরে মাইক বাজিয়ে সভা করা হয়। কারামন্ত্রী অবশ্য তা উড়িয়ে দিয়েছেন। উজ্জ্বলের দাবি, “এই অভিযোগ ঠিক নয়। বেলা ৩টের পরে মাইক বাজানো হয়েছে। তখন পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছিল। তা ছাড়া এখানে তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোনও স্কুলও নেই।” বিধি অনুযায়ী মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মরসুমে কোনও সময়েই তো মাইক বাজানো যায় না? এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর মেলেনি।

জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু দাবি করছিলেন, ‘‘শুধু মাত্র বক্স বাজানো হয়েছে নিচু স্বরে।’’ কিন্তু তিনি যখন এই কথা বলছেন, তখনই বারবার তীব্র স্বরে মাইক বেজে ওঠে। অস্বস্তিতে পড়ে রিক্তা বলেন, “এখানে মাইক বাজানোটা ঠিক হয়নি।” বলেই আর কথা না বাড়িয়ে তড়িঘড়ি গাড়িতে উঠে চলে যান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement