প্রতীকী ছবি।
বেলডাঙা ও বহরমপুর মিলিয়ে বেলডাঙা বিধানসভায় এক জন প্রার্থী ৮৭ হাজার ভোট পেয়েছিলেন গত বিধানসভা নির্বাচনে। এটা এক জন প্রার্থীর হিসাবে এই বিধানসভায় সর্বোচ্চ ভোট। সেই বামকে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস প্রার্থীর আসন ছিনিয়ে নিতে আশাবাদী তৃণমূল। গত ২০১১ সালের ভোট থেকে বেলডাঙা বিধানসভায় বহরমপুরের বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত ক্ষেত্র জুড়ে যায়। তখন থেকেই ভাগীরথী পাড়ের এই বিধানসভার রসায়ন বহরমপুরের ভোটারদের জনভিত্তির উপর পরিবর্তিত হতে থাকে।
বেলডাঙা বিধানসভা বর্তমানে বেলডাঙা পুরসভা, মহুলা ১, সুজাপুর-কুমারপুর, ভাবতা ১ ও ২, দেবকুণ্ড, মির্জাপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা বেলডাঙা ১ ব্লকের অংশ। তার সঙ্গে বহরমপুর ব্লকের ভাকুড়ি ২, হরিদাসমাটি, নওদা পানুর, রাজধরপাড়া,রাঙামাটি চাঁদপাড়া পঞ্চায়েত এলাকা যুক্ত হয়। বেলডাঙা ও বহরমপুর মিলে এই বিধানসভা এলাকার ভোট জেলা রাজনীতিকদের কাছে আলোচ্যের বিষয়। বাম কংগ্রেস জোট নিয়ে কোন ঘোঁট এখনও তৈরি হয়নি। ফলে জোট জয়ের বিষয়ে তারা আশাবাদী। ১৯৫১ সাল থেকে বেলডাঙায় বিধানসভা ভোট হয়েছে মোট ১৬ বার। তার মধ্যে কংগ্রেস জিতেছে মোট ৯ বার। বাম শরিক আরএসপি ৬ বার। একবার নির্দলের। তবে তৃণমূল কোন দিন এই আসনে জেতেনি। বেলডাঙা বিধানসভার তৃণমূলের কোয়ার্ডিনেটর বনতোষ ঘোষ বলেন, “এই আসনে কংগ্রেস প্রার্থী ধরাশায়ী হবে। কারণ গত ২০১৬ সালে যারা কংগ্রেসের ভোট করেছে তারা সকলে এখন তৃণমূলে। সব হিসাবেই পরিষ্কার তৃণমূলের এই আসন দখল শুধু সময়ের অপেক্ষা।”
কিন্তু কোনও দিন এই আসন না পাওয়া তৃণমূল কি পারবে এই আসন দখল করতে। ঠিক কী কী ফ্যাক্টর হবে এই ভোটে। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের সময় কংগ্রেসের সঙ্গে যারা ছিলেন তারা আজ তৃণমূলে। তারাই প্রায় ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ক্ষমতায় রয়েছেন। বিগত দিনে তাই কংগ্রেস এই অবস্থায় যে ক্ষমতা দেখাতে পেরেছে সেটা ২০২১ সালের ভোটে দেখাতে পারবে না। এটা যেমন একটা দিক।
গত বছর কংগ্রেস ও বাম এক সঙ্গে ভোটে লড়তে অনেক সময় নিয়েছে। এবার তারা আগে থেকেই প্রস্তুত। ফলে গত বারের ৩০ হাজার ভোট কাটিয়ে জেতা অতটা সহজ হবে না। বেলডাঙার কংগ্রেস বিধায়ক সফিউজ্জামান বলেন, “পুরসভা থেকে পঞ্চায়েত সব স্তরে তৃণমূলের দুর্নীতি এখন সামনে। কেউ একে অস্বীকার করতে পারবে না।” তৃণমূলের বিভাজন নিয়েও অনেকে সরব।
বেলডাঙা সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য চন্দন দাস বলেন, “বিজেপি ও তৃণমূল আমাদের প্রধান শত্রু। তার মধ্যে যে আসনে যে বেশি ক্ষমতাশালী তাদের বিরুদ্ধে ততটা লড়াই। ফলে জোট হলে আমরা তৃণমূলকে রুখে দেব।”