Sagardighi By Election

নির্বাচনে হার, ময়নাতদন্ত শুরু তৃণমূলে

কানাইবাবু জানান, বাইরনবাবু তো তিন দল কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপির নেতা। এই তিন দলের যেকোনও দলে যোগ দিতেই পারেন।

Advertisement

বিমান হাজরা

জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৩ ০৯:৩৩
Share:

নির্বাচনে হার নিয়ে চাপে তৃণমূল। প্রতীকী চিত্র।

সাগরদিঘিতে সংখ্যালঘু ভোট দলের পাশ থেকে কিছুটা সরে যাওয়ার কারণেই সাগরদিঘিতে এই দলীয় বিপর্যয় বলে মনে করছেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল নেতারা। খোলাখুলি কেউ মুখ খুলতে না চাইলেও, উপনির্বাচনে দলের পরাজয়ের ময়নাতদন্ত করতে শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠকে এই কথাটাই যে উঠে এসেছে, তা তৃণমূল সূত্র স্বীকার করছে। সেই সঙ্গে সাগরদিঘি এলাকায় দলের অন্তর্দ্বন্দ্বও হারের কারণ বলে মনে করছেন অনেক নেতা-কর্মী।

Advertisement

এ দিন বৈঠক শেষে জঙ্গিপুরের তৃণমূল চেয়ারম্যান কানাই চন্দ্র মণ্ডল বলেন, “কেন সাগরদিঘিতে পরাজয় তা নিয়ে পর্যালোচনার জন্যই প্রচারের দায়িত্বে থাকা পর্যবেক্ষকদের ডাকা হয়েছিল শুক্রবারের বৈঠকে। তাঁদের মতামত সবটা মেনে নিতে পারিনি। দু’তিন দিনের মধ্যে আবার একটি বৈঠক ডাকা হবে। নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। তার সঙ্গে আইপ্যাকও কাজ করেছে। তাদের কোথাও কোনও ঘাটতি ছিল না। তবু আমাদের পরাজয় ঘটেছে। আমরা আরও কিছু রিপোর্ট সংগ্রহ করছি। দলনেত্রী যেমন অনৈতিক জোটের কথা বলছেন, তেমনই এই হারের পিছনে আরও কিছু কার্যকারণ রয়েছে।”

তবে এই পরাজয় জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কানাই। তিনি বলেন, “সাগরদিঘিতে যিনি বিধানসভায় জিতেছেন তাঁর কোনও মূল্যই নেই। কিছু দিনের মধ্যেই সাগরদিঘির মানুষের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে পড়বেন তিনি। তিনি বলেছেন সব কাঁচাবাড়ি পাকা করে দেবেন। যখন তা করতে পারবেন না, জল দিতে পারবেন না, রাস্তা দিতে পারবেন না তখন দেখবেন কী হয়। পঞ্চায়েতের নির্বাচনের আগেই তার পরিণতি দেখতে পাবেন।”

Advertisement

কানাইবাবু জানান, বাইরনবাবু তো তিন দল কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপির নেতা। এই তিন দলের যেকোনও দলে যোগ দিতেই পারেন। তাঁর তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনাকে কুৎসা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস।

তৃণমূলের এ দিনের বৈঠকে বহু বিধায়ক ও নেতাই যোগ দেননি।জেতার আগেই জিতে গিয়েছেন অনেকের মধ্যেই এই মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। কানাইবাবু অবশ্য এদিন স্বীকার করেন, “আমাদের ব্যর্থতার কারণেই এই হার। সাগরদিঘিতে দলকে নতুন ভাবে পুনর্গঠন করা হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো। কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমানের গ্রেফতারে তৃণমূলের কোনও হাত নেই। তার কোনও প্রভাবও নির্বাচনে পরেনি। অপরাধ করলে পুলিশ তো তাকে ধরবেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement