তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। নিজস্ব চিত্র।
‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন এক তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়।
শনিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা বিধানসভার তেলডুমা গ্রামে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। হঠাৎই বিধায়ককে ঘিরে ধরেন গ্রামের শতাধিক যুবক। গ্রামে ক্লাব তৈরি ও খেলার মাঠের দাবিতে জানাতে থাকেন তাঁরা। বিধায়কের সঙ্গে কথা কাটাকাটির সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিও হয়। জীবনকৃষ্ণকে সভাস্থলে যেতে বাধা দেন বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয়দের প্রতিরোধ সরিয়ে তাঁর নিরাপত্তাকর্মীরা বিধায়ককে সভাস্থলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উত্তেজিত জনতা সভাস্থলে ভাঙচুর করেন। ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক সাউন্ডবক্স ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঝামেলার মধ্যে থেকে বিধায়ককে উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর পুলিশের উপস্থিতিতে মূল মঞ্চের পাশে শুধুমাত্র বিধায়কের মিনিটখানিকের বক্তব্যের পরেই সভা শেষ করে দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারী রহমান মণ্ডল বলেন, “বিধায়ক দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন এলাকায় ক্লাব ও মাঠ সংস্কার করা হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছুই হয়নি। শনিবার অভিযোগ জানাতে এলে পুলিশ দিয়ে মারধর করালেন বিধায়ক। এর ফল ভোটের সময় ঠিক টের পাবেন।”
এই ঘটনা নিয়ে জীবনকৃষ্ণ বলেন, “গ্রামের ছেলেরা একত্রিত হয়ে অভিযোগ জানাতে এলে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটে গিয়েছে।”