Abhijit Mukherjee

অভিজিতের সঙ্গে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’

অভিজিৎবাবু বর্তমানে জঙ্গিপুরের দেউলিতে তার বাড়িতে রয়েছেন। বুধবার বিকেলে দলবেঁধে তৃণমূল নেতারা তাঁর জঙ্গিপুর ভবনে যান।

Advertisement

বিমান হাজরা

জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২১ ০৪:৪৬
Share:

ফাইল চিত্র।

জেলার এক গুচ্ছ তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রীদের সঙ্গে জঙ্গিপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় একটি ছবি জল্পনা বাড়াল রাজনীতিতে। তবে কী অভিজিৎবাবুও তৃণমূলে যাচ্ছেন? যদিও তৃণমূল ও অভিজিৎবাবু দুই তরফেই এই সাক্ষাৎকারকে নেহাতই সৌজন্যমূলক বলে দাবি করেছে।

Advertisement

অভিজিৎবাবু বর্তমানে জঙ্গিপুরের দেউলিতে তার বাড়িতে রয়েছেন। বুধবার বিকেলে দলবেঁধে তৃণমূল নেতারা তাঁর জঙ্গিপুর ভবনে যান। ছিলেন সাংসদ ও তৃণমূল জেলা সভাপতি আবু তাহের, সাংসদ খলিলুর রহমান, দুই মন্ত্রী আখরুজ্জামান ও সাবিনা ইয়াসমিন, বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস, প্রাক্তন বিধায়ক আমিরুল ইসলাম ও মহম্মদ সোহরাব সহ অনেকেই। সকলেই এক সময় কংগ্রেস করতেন এবং প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। প্রণববাবু বা পরে তার পুত্র অভিজিৎবাবু যখন জঙ্গিপুরের সাংসদ ছিলেন তখন তার সঙ্গে রাজনীতিও করেছেন। এখন সকলেই তৃণমূল শিবিরে।

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছিলেন জঙ্গিপুরের নওদায় একটি অনুষ্ঠানে। তৃণমূলের ওই সব নেতারা উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘অভিজিৎবাবুর সঙ্গে নেহাতই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার এটি। আমরা অভিষেকের অনুষ্ঠান সেরে রঘুনাথগঞ্জে জাকির হোসেনের বাড়িতে যাই। সেখানেই আখরুজ্জামান জানান সোমবার রাতে অভিজিৎদার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে খাওয়া দাওয়াও করেন। বলেন, ‘‘প্রণববাবুর মৃত্যুর পর দেখা সাক্ষাত হয়নি। একবার দেখা করে আসি সেই ভেবেই সবাই মিলে যাই অভিজিৎবাবুর বাড়ি। এরপরই আবু তাহের ফোন করেন অভিজিৎবাবুকে দেখা করতে চেয়ে। অভিজিৎবাবু চা পানের আমন্ত্রণ জানান। সেই সূত্রেই সবাই একসঙ্গে ছিলাম এবং অভিজিৎবাবুও জঙ্গিপুরের বাড়িতে আছেন জেনে যাওয়া। একটিও রাজনীতির কথা তাঁর সঙ্গে আলোচনা হয়নি। নেহাতই সৌজন্য। কাজেই আমাদের সঙ্গে তার ছবিকে ঘিরে কোনওরকম রাজনৈতিক জল্পনা একেবারে অবান্তর। অভিজিৎবাবুর সঙ্গে নানা পারিবারিক ও সামাজিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটা এমন কিছুই নয়।’’

Advertisement

অভিজিৎবাবুও এই রাজনৈতিক জল্পনা হাসি ঠাট্টায় উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘তাহের ফোন করেছিল বিকেলে। সবাই এক সঙ্গে আছি দাদা। আপনার বাড়িতে একবার দেখা করে চা খেতে আসতে চাই। আমি বললাম চলে এসো। এঁরা কেউই বাবার শ্রাদ্ধের সময় যেতে পারেননি।
তারপরই ওঁরা আমার বাড়িতে আসেন। আমার বাবা, মায়ের ছবিতে শ্রদ্ধা জানান। সামান্য গল্পগুজব হয়। চা খেয়ে চলে যান। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সকলের সঙ্গেই আমার ব্যক্তিগত ভাল সম্পর্ক। তাদের আমার বাড়িতে আসা নিয়ে কে কোথায় কী জল্পনা করছে করতে দিন। অধীর চৌধুরীও তো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছেন। তাতে কী হল? সমাজ থেকে সৌজন্য তো এখনও হারিয়ে যায় নি। প্লিজ, সৌজন্যবোধকে রাজনীতির রং দেবেন না। "

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement