যোগদান সভা থেকে অধীর বলেন, ‘‘তৃণমূল ক্রমক্ষয়িষ্ণু একটি দল। অনতিবিলম্বে জীবাশ্মে পরিণত হবে ওরা।’’ —ফাইল চিত্র।
সমশেরগঞ্জের পর ‘মিশন কান্দি’। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসকশিবিরে ভাঙন ধরিয়ে প্রায় ৫০০ নেতাকর্মীকে হাত শিবিরে নিয়ে এলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। যদিও এ বারও তৃণমূল বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। তবে বহরমপুরের সাংসদের দাবি, ‘‘তৃণমূল ক্রমক্ষয়িষ্ণু দল।’’
শুক্রবারই সমশেরগঞ্জে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে ১০০টি পরিবার। সেই যোগদান কর্মসূচির পর অধীর হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘আগামিদিনে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না।’’ তার পরই কান্দি ব্লকের অন্তর্গত হিজল অঞ্চল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ সভা এবং একটি যোগদান সভার আয়োজন করা হয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ওই যোগদান সভায় তৃণমূল ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দেন প্রায় ৫০০ জন। পর পর এমন যোগদান নিয়ে উজ্জীবিত মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস। যদিও একে ‘গিমিক’ বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে তৃণমূল।
কান্দি ব্লকের আমিত্যা কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ১২ সদস্য এবং ২ জন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য-সহ ৫০০ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মী অধীরের হাত থেকে কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেন। কংগ্রেসে যোগ দিয়ে হিজল গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্য বলেন, ‘‘অনেক স্বপ্ন নিয়ে তৃণমূলে এসেছিলাম। এখানে দেখলাম দুর্নীতি ছাড়া আর কিছু নেই। তাই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি।’’ পুরন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের দলত্যাগী পঞ্চায়েত সদস্য মজদুলফা বিবি বলেন, ‘‘আগামী পঞ্চায়েত ভোটে স্বচ্ছতার সঙ্গে লড়াই করতে চাই। তাই কংগ্রেসে এলাম।’’
যোগদান সভা থেকে অধীর বলেন, ‘‘তৃণমূল ক্রমক্ষয়িষ্ণু একটি দল। অনতিবিলম্বে জীবাশ্মে পরিণত হবে ওরা।’’ অন্য দিকে, জেলা তৃণমূলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারের কথায়, ‘‘প্রচারের আলোয় থাকার জন্য কংগ্রেস এ সব করছে। এ ভাবে পঞ্চায়েত ভোটে কোনও সুবিধা করতে পারবে না।’’
বস্তুত, সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে জয়ের পর মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস বেশ আত্মবিশ্বাসী। অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদকে বিশেষ নজর দিয়েছে তৃণমূল। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে মুর্শিদাবাদ নিয়ে আলাদা করে গুরুত্ব দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা তৃণমূলে বেশ কিছু পদেরও অদলবদল ঘটেছে। কিন্তু তার পরেও ভাঙন আটকানো যাচ্ছে না।