প্রতীকী ছবি।
পরিত্যক্ত বেসরকারি কারখানার মধ্যে অবৈধ ভাবে মাটি কাটা আটকালেন তৃণমূলের কল্যাণী শহর সভাপতি বিপ্লব দে। আর তার পরেই পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেখানে দিনের বেলায় রাস্তা দিয়ে মাটি কেটে মাফিয়ারা পাচার করে দিচ্ছে, সেখানে পুলিশের নজরদারি কোথায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পুলিশের দাবি, কারখানা চারিদিক দিয়ে ঘেরা। ওখানে কে কোথায় কী করছে জানা যায়নি। এ বার থেকে ওই এলাকায় কড়া নজরদারিতে রাখা হবে। রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কে কন্নন বলেন, “চারিদিকে ঘেরা জায়গা। সেই জন্য খবর পাওয়া যায়নি। তবে যখনই খবর পাওয়া গিয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণী শিল্পাঞ্চল এলাকায় কারখানার মধ্যে অবৈধ ভাবে মাটি মাফিয়ারা মাটি কেটে পাচার করছে কিছু দিন ধরে। সেই মাটি গাড়িতে করে কল্যাণীর বারোহাত এলাকার রাস্তা দিয়ে কল্যাণী ব্লকের দিকে চলে যাচ্ছে। সেই খবর কয়েক দিন ধরেই শুনছিলেন শহর সভাপতি। বুধবার সকাল ১০নাগাদ একটি কারখানায় সদলবলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান মাটি কাটা চলছে। তিনটে গাড়ি রয়েছে। একটি গাড়ি আটকান। এক জন গাড়ির চালককেও ধরেন। বাকিরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়ি আটক করে নিয়ে আসে। ওই চালককে গ্রেফতার করে। এ দিনের এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের শহর সভাপতি বিপ্লব দে বলেন, “এই বিষয়ে আমি সরব হয়েছি। গাড়ির চালককে ধরে কী হবে। গাড়ির মালিককে ডেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে কে মাটি কাটাচ্ছিল? পুলিশকে একটু বেশি সচেতন হতে হবে এই বিষয়ে।”
ওই কারখানার জমি এস্টেট ম্যানেজারের জমি। তাঁরাও আগে কোনও অভিযোগ করেনি বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। তবে এস্টেট ম্যানেজার দফতরের এক আধিকারিক বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘কী হবে করে? এর আগে জমি জবর দখল থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কাটা নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’’ এস্টেট ম্যানেজার নির্মল চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন, “আমরা জমি হস্তান্তর করে দিয়েছি। এখন ওটা দেখার দায়িত্ব ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের।”
এই বিষয়ে চাকদহ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক অনিন্দিতা ঘোষ মাইতি বলেন, “যখনই আমরা কোনও খবর পাচ্ছি, সেখানে অভিযান চালাচ্ছি। এখানেও বৃহস্পতিবার গিয়ে পদক্ষেপকরা হবে।”