এবার চাকদহ ব্লকে তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন ধরল। চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ প্রীতি মণ্ডল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। চাকদহ ব্লকের চান্দুরিয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান সদস্য প্রভাস চন্দ্র ওরফে গোপাল তামলী, ওই অঞ্চলের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি এবং প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য বিদেশরঞ্জন বিশেয়া সহ বেশ কিছু তৃণমূল কর্মীও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার কলকাতায় বিজেপির কার্যালয়ে গিয়ে তাঁরা যোগদান করেছেন। এর ফলে রাজ্যের শাসক দলকে বড়সড় সমস্যায় পড়তে হবে বলে এলাকার অনেকেই মনে করছেন। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের উপস্থিতিতে ওঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রীতি মণ্ডল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বেশ কিছু প্রকল্প আমার খুব ভাল লাগে। আমার মনে হয়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের উপকার হতে পারে। সেই কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। দলত্যাগের পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।” বিদেশ বলেন, ‘‘বিগত দিনে আমি দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছি। এখন দলে দুর্নীতি প্রবেশ করেছে। এখন আর দলে আমাদের মর্যাদা দেওয়া হয় না। যে কারণে বেশ কিছু কর্মী নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।”
নদিয়া দক্ষিণ জেলা বিজেপি সহ সভাপতি পঙ্কজ বসু বলেন, “ওরা আমাদের দলে যোগ দেবে বলে জানিয়েছিল। ওদের দলে গ্রহণ করা হয়েছে। তৃণমূলের অনেকেই আমাদের দলে আসার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন।”
চান্দুরিয়া ১ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য তীব্রজ্যোতি দাস বলেন, “ওরা চলে যাওয়ায় এলাকায় দলের মুখ আরও উজ্জ্বল হয়েছে। আমি যত দূর শুনেছি, ওদের সঙ্গে কেউ যায়নি। ওরা একাই গিয়েছে। এতে কোনও ক্ষতি হবে না। এবার ওদের নিয়ে বিজেপি বিপদে পড়বে।”
চাকদহ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দিলীপ সরকার বলেন, “যারা চলে যেতে চায়, চলে যাক। ওদের জন্য দলের কোনও ক্ষতি হবে না। এতে দলের মঙ্গল হবে। ওরা অনেক দিন থেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল।”