Chakdah

বিজেপিতে যোগ, বহিষ্কার সদস্যকে

তিনি পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্য, শিক্ষার সঞ্চালক ছিলেন। বুধবার এ ব্যাপারে স্থানীয় তৃণমুলের একটি সভা হয়। তার পর তাঁকে দল থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

চাকদহ শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের এক গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। ঘটনাটি ঘটেছে চাকদহ ব্লকের হিংনারা গ্রাম পঞ্চায়েতে। বহিষ্কৃত সদস্যের নাম সুরজিৎ মজুমদার। তিনি পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্য, শিক্ষার সঞ্চালক ছিলেন। বুধবার এ ব্যাপারে স্থানীয় তৃণমুলের একটি সভা হয়। তার পর তাঁকে দল থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা তৃণমূল নেতা শ্রীকান্ত রায় বলেন, “আমাদের দল থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন ওই সদস্য। কয়েক দিন আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। তাই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন থেকে তাঁর সঙ্গে আমাদের দলের আর কোনও সম্পর্ক থাকল না। আগামী দিনে এটি প্রশাসনকেও জানিয়ে দেওয়া হবে।”

গত ১৬ ডিসেম্বর কলকাতায় বিজেপি রাজ্য অফিসে অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সুরজিৎ। তৃণমূল তাঁক বহিষ্কার করার ব্যাপারে তাঁর মন্তব্য, “আমিও ওদের বহিষ্কার করেছি।” তাঁর আরও বক্তব্য, “এখন পঞ্চায়েত শুধু দুর্নীতি হয়। গরিব মানুষের টাকা আত্মসাৎ করা হয়। তার প্রতিবাদ করা যায় না। আমাকে পঞ্চায়েত কোনও কিছু জানাত না। আমাকে মর্যাদা দিত না। শুধু আমাকে দিয়ে সই করিয়ে নিত।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি মানুষের জন্য কাজ করার জন্য পঞ্চায়েতের সদস্য হয়েছি। সেটাই করতে পারছিলাম না। আমপানে আমার এলাকায় ১৭ জনের ঘর ভেঙে গিয়েছে। তাঁদের এক জনও ক্ষতিপুরনের সেই টাকা পাননি। অথচ, পঞ্চায়েত প্রধানের আত্মীয়েরা সেই টাকা পেয়েছেন যাঁদের বাড়়িঘর ভাঙেনি। তাই আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। ও আরও সাড়়ে চারশো জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।” অভিযোগ অস্বীকার করে হিংনারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মাধবী বিশ্বাস বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমপানের টাকা যাঁদের পাওয়ার কথা ছিল, তাঁরা পেয়েছেন। বিজেপিতে চলে গিয়েছে বলে এখন এ সব অভিযোগ করছেন উনি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement