বোমায় জখম তৃণমূল নেতা

ব্লক তৃণমূলের সভাপতি হাজিকুল আলমের দাবি, ‘‘কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই সফিকুলের উপর হামলা চালিয়েছে।’’ যদিও জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলছেন, ‘‘যে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে তাঁরা কেউ আমাদের দলের নন। ওঁরা তৃণমূলেরই সম্পদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

বোমার আঘাতে এক তৃণমূল নেতা-সহ দু’জন জখম হয়েছেন। সোমবার রাতে ডোমকলের জুড়ানপুরের ঘটনা। জুড়ানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুফিয়া বিবির স্বামী সফিকুল ইসলাম ও তাঁর ভাবি (বৌদি) মাবিয়া বেওয়া জখম হয়েছেন। সোমবার রাতেই তাঁদের উদ্ধার করে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে সফিকুলকে ডোমকল থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখান থেকে ফের তাঁকে কলকাতায় এনআরএসে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সফিকুলের দাদা ইন্তাজুল শেখ তাঁদের দূর সম্পর্কের তিন আত্মীয়ের বিরুদ্ধে ডোমকল থানায় খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগ করেছেন। ইন্তাজুলের দাবি, ‘‘আমার ভাই এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। কংগ্রেসের লোকজন তা দেখতে পারত না। তাই কংগ্রেসের লোকজন হামলা চালিয়েছে। অভিযুক্তেরা আগে তৃণমূল করলেও এখন কংগ্রেস করে।’’

Advertisement

ব্লক তৃণমূলের সভাপতি হাজিকুল আলমের দাবি, ‘‘কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই সফিকুলের উপর হামলা চালিয়েছে।’’ যদিও জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলছেন, ‘‘যে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে তাঁরা কেউ আমাদের দলের নন। ওঁরা তৃণমূলেরই সম্পদ। পঞ্চায়েতে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোলের জেরে এই ঘটনা।’’

জয়ন্তের দাবি, ‘‘ডোমকল, জলঙ্গিতে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলের কথা সবাই জানে। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে নানা ঘটনা ঘটায় শাসক দলের দূর্বৃত্তেরা। আর আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলে।’’

Advertisement

জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, ‘‘টাকাপয়সা সংক্রান্ত গন্ডগোলের জেরে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ৮টা নাগাদ জুড়ানপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিলেন সফিকুল। তখন জনা কয়েক দুষ্কৃতী তাঁর উপর হামলা চালায়। বোমার আঘাতে আহত অবস্থায় পাশের একটি বাড়িতে ঢুকে পড়লে দুষ্কৃতীরা আরও একটি বোমা ছোড়ে। সফিকুলের বৌদি মাবিয়া বেওয়া জখম হন।

স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সফিকুল ইসলামের মুখ, হাত-সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা বোমার আঘাতে ঝলসে গিয়েছে। খবর পেয়ে এ দিন রাতেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত নেতাকে দেখতে যান ডোমকলের প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌমিক হোসেন-সহ অন্য দলীয় নেতৃত্ব।

সফিকুলের ভাই ইন্তাজুল শেখ সোমবার রাতেই জুড়ানপুরে মধু শেখ, পিন্টু শেখ ও সাফরুল শেখের বিরুদ্ধে ডোমকল থানায় অভিযোগ করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement